রাজ্যের আপত্তি ছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন নিয়ে। তবে আজ সকালে রাজভবনে (Rajbhavan) ঘটা করে পালিত হল ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। আজ SSKM-এ গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নর উত্তরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার জন্মের সময় থেকে কোনদিন এরকম রাজ্যের দিবস শুনিনি। এগুলি সবই বিজেপির চক্রান্ত।’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট: সুপ্রিম কোর্ট
এইভাবে রাজ্যের দিবস পালন নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করে সোমবারই রাজ্যপালকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও এই অনুষ্ঠান হওয়ায় তিনি বলেন, “ধিক্কার, ধিক্কার, ধিক্কার।” প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কীকরে জানবে, এই রাজ্যের কোনও দিবস আছে কি না? রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ওরা পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছে বিজেপি- তোপ দাগেন মমতা। তাঁর কথায়, কোনোদিন এখানে এইসব দিবস পালন হয়নি। এই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা মানে, বাংলাকে অবমাননা করা। বাংলার মানুষকে অসম্মান করা। মমতা বলেন, এররকম কিছু থাকলে, রাজ্যের মানষে তা জানবে না! রাজ্য সরকার জানবে না! বিগত,বাম আমলে বা কংগ্রেস আমলে এররকম কিছু হয়নি। এটা হতে পারে না।
আরও পড়ুন-লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী পুরীতে, টান পড়ল রথের দড়িতে
তীব্র কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলা রাজ্যের নামে ওদের আপত্তি আছে। আর ফাউন্ডেশন দিবস পালন করবে?” এদিন তিনি এসএসকেএম-এ যান। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। রথযাত্রার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন-সেরে উঠুক পৃথিবী
আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে নবান্নের তীব্র সংঘাত ছিল। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) দায়িত্বভার নেওয়ার পর থেকে, তাঁর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। কিন্তু উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে, রাজ্যের অশান্তির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ শাসকদল। এর পর এদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। যার কারণে, মমতা মন্তব্য করেন, “রাজ্যপালের পদ পদ্মপাল হয়ে গিয়েছে। এখানে বিজেপি রাজনৈতিক চক্রান্ত করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, “যেখানে এই প্রতিষ্ঠা দিবস আছে, সেখানে পালন করুক। মহারাষ্ট্রে দিবস আছে, সেখানে করুক।”