প্রতিবেদন : এবার আর রাখঢাক নয়, একেবারে বিজেপির ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ বাংলার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose- Rajiva Sinha)। সরকারকে টপকে আসাংবিধানিক পদ্ধতিতে নানা পদক্ষেপ করার পর বুধাবার রাতে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের ১৬ দিন আগে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি করতে বিজেপির নির্দেশে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার (CV Ananda Bose- Rajiva Sinha) জয়েনিং লেটার ফেরত নিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজ্যপাল কি পারেন এই পদক্ষেপ করতে? সাধারণ নিয়ম বলছে, নির্বাচন কমিশনারকে সরানোর সাংবিধানিক পদ্ধতি হল, রাজ্যপাল প্রথমে রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। রাষ্ট্রপতি মনে করলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের তদন্তের নির্দেশ দেবেন। সেই তদন্ত রিপোর্ট ফেরত আসবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি পাঠাবেন রাজ্যপালকে। তারপর রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব যাবে। দীর্ঘ জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু সেই পদ্ধতি উপেক্ষিত এই পর্যায়ে। তাহলে রাজ্য সরকার কী করবে? বৃহস্পতিবার সকালেই অবস্থান পরিস্কার করবে সরকার। আইনি পদ্ধতিতেই মোকাবিলা হবে, সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের উপর কুঠারাঘাতের বিরুদ্ধে হবে রাজনৈতিক লড়াই। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ভরাডুবির আভাস পাওয়ার পরেই ভোট-জটিলতা তৈরি করাই এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন। সেই বৈঠকে বাধা দিতে মরিয়া হয়ে শেষ অস্ত্র খেলেছেন বিজেপির এজেন্ট রাজ্যপাল। রাজনৈতিক লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে বিজেপি রাজ্যপালকে রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায় নামিয়ে আনল বুধবার। বাংলা কেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে এটি ভয়ঙ্করতম ঘটনা।
আরও পড়ুন- লুঠ হয়ে গেছে ব্যাঙ্কের টাকা