প্রতিবেদন : রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) সঙ্গে কথা বলে এলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha)। মূলত, বাহিনী না পাওয়া নিয়েই মূল সমস্যা। কেন্দ্রের কাছেও পর্যাপ্ত বাহিনী পাওয়ার স্পষ্ট কোনও আশ্বাস মেলেনি। এই পরিস্থিতি কি ভোটের দফা বাড়বে? চিত্রটা পরিষ্কার নয়। কিন্তু যদি ইচ্ছাকৃতভাবেই কেন্দ্র না দেয় তাহলে রাজ্যের কিছু করার থাকে না। ফলে সেক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি দফাবৃদ্ধি। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেওয়ার পরেও তা পরিবর্তন করতে হলে সেটি কার্যত ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত হবে। রাজীব ও রাজ্যপাল সে বিষয় নিয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন- উত্তরে আজ নেত্রীর ঝড়, কাল নদিয়ায় প্রচার অভিষেকের
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে বারবার চিঠি লিখেও বকেয়া ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছে না কমিশন। আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছে, ২০১৩-র মডেলে নির্বাচন করার পক্ষে মত রয়েছে তাঁদের। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে কোনও উত্তর না পেয়ে নতুন করে বাহিনী পাওয়ার আশা রাখছে না কমিশন। সেক্ষেত্রে ৩৩৭(২২+৩১৫) কোম্পানি দিয়েই ভোট করানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ অবশেষে কোন জেলায় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা তৈরি করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা আর সেই তালিকা নিয়েই তিনি রাজভবনে গিয়েছেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
আজই কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন জেলায় কত মোতায়েন হবে, সে ব্যাপারে বাহিনীর কর্তাদের পাশাপাশি রাজ্যপালকেও (Governor CV Ananda Bose) অবগত করিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে, দফা বাড়ানো হলে তা ঠিক কত দফা হতে পারে সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। নজর এখন হাইকোর্টের শুনানির দিকে।