প্রতিবেদন : ঘরের মাঠে নিজের চেনা পরিবেশে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শেষ পর্যন্ত বন্ধু বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিশেষ ভূমিকায় প্রাণে বাঁচলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভয়ানক বিপর্যয়ের আতঙ্কে ভুগতে থাকা পুতিন কার্যত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তবে প্রিগোজিনের ঘোষণায় সাময়িক স্বস্তি পেলেও এই ঘটনায় পুতিনের কর্তৃত্ব নিশ্চিতভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন-৬২ বছর পর দিল্লি ও মুম্বইয়ে একসঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা
প্রিগোজিনের হুমকিতে যেভাবে পুতিনের (Vladimir Putin) পা কেঁপে উঠেছিল সেটা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চোখ এড়ায়নি। প্রিগোজিন আপাতত মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও পুতিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। কারণ প্রিগোজিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী তা অজানা। পুতিনের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাতে এক সময় তাঁর রাঁধুনি প্রিগোজিন সময় কিনতে চাইছেন কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওয়াগনারের প্রধান রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশ যেতে সম্মত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা বিবিসির দাবি, পুতিনের এক সময়ের বন্ধু প্রিগোজিনকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে দেখা গিয়েছে। এ ঘটনায় ওয়াকিবহাল মনে করছে, ক্রেমলিনের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষেই মস্কো অভিযান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রিগোজিন। তাঁকে গ্রেফতার করা বা তাঁর এবং বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং ওয়াগনার বাহিনীর কোনও সদস্যের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগবে না এই প্রতিশ্রুতি তিনি ক্রেমলিনের কাছ থেকে আদায় করেছেন।
এরই মধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২৪ ঘণ্টা আগেই সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর ছিল, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চলেছে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনী। জুনের মাঝেই নাকি প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন সিআইএ কর্তারা।