মঙ্গলবার নদিয়ার হাঁসখালি কৃষ্ণগঞ্জের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়ে দিলেন, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ১০ লক্ষ বঞ্চিতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ পঞ্চায়েত পর্ব মিটলেই শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের দিল্লি চলোর ডাক।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “আমি ৬০ দিন ধরে পথে পথে ঘুরে আপনাদের জানিয়েছিলাম খেটে খাওয়া মানুষের টাকা দিল্লি থেকে আমি আদায় করে আনব। সেই মতো আজ জানিয়ে দিচ্ছি আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাংলার বকেয়া টাকা আদায় করতে আমরা দিল্লি চলোর ডাক দেব। বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছে ওরা। যার মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ১০০ দিনের কাজের বকেয়া। আবাস যোজনার ৮ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা আমরা আদায় করবই।” একইসঙ্গে তিনি জানান, “টাকা আদায় করার ৩টে রাস্তা আছে প্রথমত, এদের ভালো করে বলা টাকা আটকাবেন না ছেড়ে দিন। যেটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ করেছেন, তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে আবেদন জানিয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীও দিল্লি গিয়ে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তাহলে বাকি আর দুটো রাস্তা একটা মোদিজির পা ধরুন, নাহলে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করুন।” এরপর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শেষ রাস্তাটাই বেছে নেব। ১০ লক্ষ মানুষকে নিয়ে গিয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলন করব আমরা। লড়াই করে আমাদের টাকা আমরা ফেরত আনব।” সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনাদের নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার। আন্দোলনে বসার দায়িত্ব আমার। লড়াইয়ের দায়িত্ব আমার। দরকারে কৃষি ভবনের বাইরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্না দেব। তবে তার জন্য পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে সমর্থন করতে হবে।”
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের আয়ু কতদিন জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
একইসঙ্গে এদিনের সভা থেকে পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার জন্য। প্রতিটা বুথে ৫ জন করে কেন্দ্রীয় জওয়ান দিন। ২ মাস আমি গোটা রাজ্য ঘুরেছি। মানুষের সঙ্গে ঘুরে তাঁদের চোখ মুখের অভিব্যক্তি আমি দেখেছি। আমি আজ চ্যালেঞ্জ করে বলছি সকলের সামনে, ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেছিল সেখানে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৮ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৩৮ শতাংশ ভোট। আমি বলে দিচ্ছি এবার বিজেপির ভোট আর কমবে ১৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে তৃণমূল। আজ আমি বলে দিলাম, ভোটের পর আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।”