সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat election) আর সেই উপলক্ষে প্রচার অভিযানে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নদিয়ার (Nadia) সভা থেকে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর থেকে ১০ গুণ জেদ আমার। দিল্লির বুক থেকে টাকা ছিনিয়ে আনব। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিজেপি নেতারা। মানুষের টাকা মেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বিজেপির কোনও নেতা ভোট চাইতে আসলে বলুন, শেষ চার বছরে কি কাজ করেছেন? রিপোর্ট কার্ড কোথায়? জেনে রাখুন বিজেপি আসলে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে। ২ হাজার টাকার নোট এনেছিল। কেন আজ বদল করতে হল? মোদিজী আপনার দৃষ্টিভঙ্গী বদলান।’
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের আয়ু কতদিন জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক এদিন বলেন, ‘গদ্দার, মীরজাফর বিজেপিতে৷ বিজেপির সব আছে মানুষ নেই৷ আমাদের কাছে ইডি, সিবিআই নেই৷ কিন্তু মানুষ আছে। ধন্যবাদ জানাই হাইকোর্টকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। প্রতি বুথে ৫ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিন। এতে তৃণমূলের ভোট আরো বাড়বে, বিজেপির ভোট কমবে। পঞ্চায়েতে ১০০% মনোনয়ন হয়েছে এবার। আগের বার ৩৪% আসনে নির্বাচন হয়নি।’
আরও পড়ুন-আজ হয়তো বেঞ্চে থাকবেন সুনীল, কুয়েতকে নিয়ে সতর্ক ভারত
চাকরি প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাণাঘাট একসময় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছিল। আগামীদিনেও থাকবে। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, ১৮ চাকরি দেয়নি। নিজের লোককে চাকরি দিয়েছেন। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি জোট পঞ্চায়েতে। এক পোস্টারে পদ্ম-হাত-কাস্তে। সিবিআই, ইডি, নোটিশ দিয়েছে৷ আমরা বেইমান নই৷ আমরা গদ্দার, মীরজাফর নই।’
আরও পড়ুন-দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করে বকেয়া টাকা আদায়, বললেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সিএএ বিল পাস নিয়ে বলেন, ‘ওরা বলেছিল সিএএব করব। সিএএ বিল পাস হয়েছে, কিন্তু ৪২ মাসে এখনও বিলের রুল ফ্রেম হয়নি। আসামে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন, ১১ লক্ষ লোককে এনআরসি করে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার বেশিরভাগ হিন্দু বাঙালি। এরা বাঙালি বিদ্বেষী। যারা ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন করা হল তাঁদের যদি অবৈধ বলা হয় তবে তাঁদের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীও অবৈধ।’ অভিষেক বলেন, ‘আপনাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। কেন্দ্র ১৯৭২ সালের আগের কাগজ দেখাতে বলছে। আগে প্রধানমন্ত্রী নিজে কাগজ দেখান। তারপর সাধারণ মানুষ দেবে।’
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের আয়ু কতদিন জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মতুয়া প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এদেশে মতুয়াদের যতটা অধিকার, ততটাই আমার আপনার। গতবারে এনআরসি-এর জুজু দেখিয়ে ভোট কেড়েছে এবার মুখ থুবড়ে পড়বে।’ ঠাকুরনগরের গণ্ডগোলের বিষয়ে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আমাকে বলেছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে আসিনি বলে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমি এ বাংলার ছেলে আমাকে বলছে মতুয়া মন্দিরে পুজো দিতে হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে হবে। যার হাতে গোধরার রক্ত লেগে তাদের পা চাটছে। কখনও শুনেছেন মন্দিরে যেতে গেলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগে! বিপত্তারিণীর পুজো আজ। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কি পুজো দিতে গিয়েছিলেন? শুভেন্দু অধিকারী অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে বলছেন। শান্তনু ঠাকুর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেন। আমাকে ঢুকতে দেননি। ভোটে হেরে বিরোধী দল হতেই মন্দিরে ঢুকতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে বলছে। এ কোন উগ্র হিন্দুত্ববাদ। আমি জানি এর জবাব বনগাঁর মানুষ ভোটে দেবেন।’