সংবাদদাতা, তমলুক : মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরেই রাম-বাম আঁতাতের কথা বলছেন। সেটা যে ঘটনা, তার প্রমাণ মিলছে এই পঞ্চায়েত ভোটেই। বিজেপি ও সিপিএম বহু আসনে বোঝাপড়া করছে। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে সিপিএমের হয়ে দেওয়াল লিখছেন বিজেপি কর্মীরা। তমলুক ব্লকের নীলকুণ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর গড়কিল্লা বুথে সিপিএমের প্রার্থী সুলেখা পট্টনায়ক।
আরও পড়ুন-উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি পাঠাল অধ্যাপক সংগঠন
এই বুথে বিজেপির প্রার্থী নেই। রবিবার গড়কিল্লা গ্রামের বিজেপি কর্মীরা দেওয়ালে সিপিএম প্রার্থী সুলেখা পট্টনায়কের হয় কাস্তে হাতুড়ি তারা আঁকেন। একই দেওয়ালে নিচে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির রমারানি মাইতি এবং জেলা পরিষদে নবমিতা মাইতির সমর্থনে দেওয়াল লেখা হয়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সেই দেওয়ালের ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘বাম-রাম জোটের দেওয়াল। এরপরেও কমরেডদের বড় বড় নীতিকথা।’ সিপিএমের নাইকুড়ি এরিয়া কমিটির সদস্য তাপস মাইতির নির্দেশে দলীয় কর্মীরা সুলেখার সমর্থনে বিজেপির দেওয়াল লিখন নাকি মুছে ফেলেছে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের দাবি, তমলুক ব্লকে প্রায় ৬০ আসনে বিজেপি-সিপিএম আসন বোঝাপড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-ইলিশ নেই, মৎস্যজীবীদের ত্রাতা হল তেলিয়া ভোলা
অনেক জায়গায় প্রতীকের পরিবর্তে রাম-বাম জোট নির্দল প্রতীক ব্যবহার করেছে। নীলকুণ্ঠা পঞ্চায়েতের ১ নম্বর শালিকা দামোদরপুরে তৃণমূলের বিপক্ষে একমাত্র বিজেপি প্রার্থী লড়ছেন। সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। সিপিএম ও বিজেপি জেলা নেতৃত্ব অস্বীকার করলেও তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, আমরা যা বলেছি, সেটা যে সত্যি তা দেওয়াল লিখনেই প্রমাণিত।