প্রতিবেদন : মণিপুরের হিংসাত্মক ঘটনাবলিকে ‘গণহত্যা’ বা ‘জেনোসাইড’ বলে উল্লেখ করলেন কেরলের একটি চার্চের আর্চ বিশপ। তিনি মণিপুরের ঘটনাকে ২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গার দ্বিতীয় অধ্যায় বলেও উল্লেখ করেছেন। বৃহস্পতিবার কেরলের কান্নুরে স্থানীয় চার্চের আর্চ বিশপ জোসেফ প্যামপ্লানি অভিযোগ করেন, গুজরাতে মুসলিমদের মতো মণিপুরে খ্রিস্টানদের হত্যার জন্য টার্গেট করা হয়েছে। মণিপুরে হিংসা এক ধরনের গণহত্যা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই এই হিংসা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতে কোনও ধর্মীয় বৈষম্য নেই। আমেরিকার মাটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই কথা উল্লেখ করে বিশপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল মণিপুরের মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে মন্তব্য করা।
আরও পড়ুন-কর্মসংস্থানে ব্যর্থ মোদি সরকার, স্বীকার অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন মন্ত্রীর
পাশাপাশি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও সরকারকে সতর্ক করেছেন তিনি। বিশপ বলেছেন, এটা শুধুই আইনি বিতর্কের বিষয় নয়। এটি জনসাধারণেরও বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত। মণিপুরে হিংসা থামার কোনও লক্ষণ নেই। বৃহস্পতিবারও জাতিদাঙ্গা বিধ্বস্ত এই রাজ্য থেকে গুলি চলার খবর এসেছে। এদিন সকালে পশ্চিম ইম্ফল জেলার লেইমাখং গ্রামে চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। ওই গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দু’জন। ঘটনার খবর পেয়ে জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকায় বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। রাজ্যের কাংপোকপি জেলা থেকেও গুলি চালানো ও অগ্নিসংযোগের খবর মিলেছে। জেলার তাংনায়ুম এবং এল মুনলাই গ্রামে জঙ্গিরা হামলা চালায়।
আরও পড়ুন-মোদি-শাহকে খুশি করতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সব গুরুত্বপূর্ণ খেলা গুজরাতে, বোর্ড সভাপতি জয় শাহ’র প্রভাব
৩ মে থেকে মণিপুরে মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ওই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গৃহহীন হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি পরিবার। অশান্তি রুখতে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে এসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী চূড়াচাঁদপুরের দিকে রওনা দিলে তাঁর কনভয়ে আটকে দেওয়া হয়।