প্রতিবেদন : বিজেপি বাংলার মানুষের থেকে ভোট নিয়ে তাদেরই ভাতে মারার জন্য দিল্লিতে দরবার করেছে। বাংলার মানুষের ন্যায্য পাওনা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে এখানকার বিজেপি নেতাদের কথায়। এই বিজেপিকে একটা ভোটও নয়। এমনভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন যাতে পঞ্চায়েতের ভোটের বাক্স খুললে পদ্মফুল চোখে সরষে ফুল দেখে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে একনায়কতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না। আপনারাই ভোট দিয়ে অহংকারী প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লির মসনদ থেকে টেনে নামাবেন।
আরও পড়ুন-নিছক সমাপতন নাকি অন্য গল্প? ২০২৪-এর নির্বাচন ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
শুক্রবার বারাবনির রোড-শো থেকে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, যারা বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে তাদের কাছে মাথা নত করব না, করতে হলে মানুষের কাছে করব। কোনও বহিরাগতদের কাছে নয়। এরপরই রোড-শোয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের প্রমাণ করতে হবে বিজেপি এখান থেকে আপনাদেরই ভোটে জিতেছিল। তারা জেতার পর কীরকম আচ্ছে দিন এসেছে! জিনিসপত্রের দাম সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। পেট্রোল ডিজেল-গ্যাসের দাম সীমা ছাড়িয়েছে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দিচ্ছে। অন্যদিকে মোদি সরকার লুঠ করছে। অভিষেকের সংযোজন, আমরা কথা দিয়ে কথা রাখার দল। আগামী দিন বৃহত্তম লড়াই হবে। বিজেপি হেরে গিয়ে বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এদিন পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অভিষেক বলেন, নবজোয়ার কর্মসূচির সময় বলেছিলাম, আপনারা যাঁকে চান তাঁকেই প্রার্থী করেছি। এবার তাঁদের জেতানোর দায়িত্ব আপনাদের।
আরও পড়ুন-১০লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে বাংলার বকেয়া আদায় করে আনার চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
শুক্রবারও বাংলার পাওনা আদায়ে দিল্লিতে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, বারাবনিতে আজ ট্রেলার দেখালাম। পুরো সিনেমা দেখাব দিল্লিতে। বাংলার ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনবই। এরজন্য প্রয়োজনে দিল্লিতে কৃষিভবনের বাইরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসব। ১০ লক্ষ লোক নিয়ে আমি দিল্লি যাব। দেখব বিজেপি সরকারের কত দম আছে বাংলার টাকা আটকে রাখে? এদিন তিনি ছিলেন রণংদেহি মেজাজে। প্রধানমন্ত্রীর দ্বিচারিতা নিয়েও তোপ দেগেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নাকি সবকিছুর গ্যারান্টার! কোনও দুর্নীতি হতে দেবেন না। তিনি গ্যারান্টি নিয়েছেন।
আরও পড়ুন-হুল দিবসের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
এরপরই কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, এই অঞ্চলের সবথেকে বড় চোর হল জিতেন তিওয়ারি। সব ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত। কী করেনি? সে এখন বিজেপির নেতা! আর একজন নারদায় হাত পেতে ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছে। বিজেপি তাকে করেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই তো অবস্থা! যত চোর-ডাকাত সব বিজেপিতে। এদের গ্যারান্টি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আরও আছে, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তারও গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। এদিন বারাবনিতে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে রোড-শোয়ে যে রেকর্ড ভিড় হয়েছিল তা মনে করিয়ে দিচ্ছিল কয়েকদিন আগে নবজোয়ারের ভিড়কে। বিজেপি বাংলায় কোভিডের মধ্যে ৮ দফায় ভোট করেছে। তাও হেরেছে। এবার এই ৮ দফা ভোটের জবাব দিতে হবে আগামী ৮ জুলাই ব্যালটের মাধ্যমে। সাফ কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।