গত পাঁচ বছরে হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকায় প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। রাস্তানির্মাণ থেকে পানীয় জলের সংযোগের মতো সামাজিক কাজেও যেমন সাফল্যের নজির রেখেছে, তেমনই স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রেও প্রতিটি পঞ্চায়েতে ব্যাপক কাজ হয়েছে । তারই খতিয়ান পেশ করা হল
#######
যোগাযোগ : জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৬৩৩টি জায়গায় ৬২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৪৭.৫৭৭ কিমি রাস্তা হয়েছে। ফলে গ্রামীণ এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকারও অনেক সুবিধা হয়েছে। পানীয় জল : গ্রামীণ এলাকায় ৪৬২টি নতুন নলকূপ বসেছে। এর জন্য ৫ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়েছে। এছাড়াও জেলার প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। ২০২৪-এর মধ্যে সমস্ত বাড়িতে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। নির্মল বাংলা ও জনস্বাস্থ্য : নির্মল বাংলা গড়তে এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে জেলায় ৭৬ হাজার ৬২৫টি পারিবারিক শৌচাগার, এ-ছাড়াও ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ এলাকায় ৭৪টি শৌচালয় নির্মাণ হয়েছে।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর সভায় বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ দায়ের হল বনগাঁ থানায়
এরই সঙ্গে জনবহুল স্থানে ৪০৭টি কমিউনিটি শৌচাগার হয়েছে। ব্লকে ব্লকে অ্যাম্বুল্যান্স : ১৪ ব্লকে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। খরচ হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র: আইসিডিএস প্রকল্পের জন্য ১০৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি ও পুনর্গঠন হয়েছে। এর জন্য ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। শববাহী গাড়ি : বিভিন্ন এলাকায় ৮৯ লক্ষ ৮২ হাজার টাকায় ৯টি শববাহী গাড়ি প্রদান করা হয়েছে। বর্জ্য নিষ্কাশন : নির্মল গ্রাম গড়ে তুলতে বর্জ্য নিষ্কাশন ও পরিবহণে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৪ ব্লকে একটি করে ১৪টি সেসপুল ভ্যান দেওয়া হয়েছে। মশামারার কামান : মশার প্রকোপ ঠেকাতে ১৫৭ পঞ্চায়েতের প্রতিটিতে মশামারার কামান দেওয়া হয়েছে। খরচ হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। স্কুলে সৌরবিদ্যুৎ : জেলা পরিষদের উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪৭৩টি জায়গায় ১১ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকায় সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন : ১৭০টি স্কুলে ৩৩২টি স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-খড়্গপুর আইআইটিতে লাগল আগুন, হতাহতের খবর নেই
এরই সঙ্গে ১৪টি ব্লকে একটি করে মেশিন চালু করা হয়েছে। এর জন্য ৪কোটি ৪১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ওয়াটার এটিএম : জীবনধারা প্রকল্পে ২৩টি হাসপাতালে ৫৭টি ওয়াটার এটিএম বসেছে। ২কোটি ৪৫ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও ৮৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকায় বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় আটটি ওয়াটার এটিএম বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্র : জগৎবল্লভপুর ৫৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকায় গ্রামীণ হাসপাতালের নতুন বিল্ডিং হয়েছে। ৫২ লক্ষ টাকায় বাগনান-১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতি ঘটানো হয়েছে। আমতা-২ নম্বর অঞ্চলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতি ঘটানো হয়েছে ৩১ লক্ষ টাকায়। এ-ছাড়াও ৫২টি পঞ্চায়েতে হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসা কেন্দ্র হয়েছে। বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ : গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসক বিধানচন্দ্র
এর জন্য ১৮০টি ই-রিকশা চালু হয়েছে। ১২ হাজার বালতি দেওয়া হয়েছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য ১৬ লক্ষ টাকায় ২৪টি কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প চালু হয়েছে। ব্লকে ব্লকে পানীয় জলের গাড়ি : প্রতিটি ব্লকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় ১৪টি পানীয় জলের গাড়ি দেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি ও কর্মসংস্থান : মহিলাদের ৫২ হাজার ৪৭১টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী করা হয়েছে। পুরুষদের নিয়ে হয়েছে ৯ হাজার ৯১টি। এ-ছাড়াও আনন্দধারা প্রকল্পে ১৭ হাজার ৫২৪টি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এরই সঙ্গে মাশরুম, পোলট্রি ও ছাগলচাষের জন্য ৪০টি প্রকল্প চালু রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের তৈরি সামগ্রী বিপণনে প্রতি বছর সবলা মেলা হচ্ছে।