প্রতিবেদন : হেলিকপ্টার (Helicopter) ক্র্যাশের মুখ থেকে ফিরে এসে শুধুমাত্র প্রবল মনের জোরেই কীভাবে দ্রুত আরোগ্যের পথে তিনি, সেই কাহিনিই শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টিভি নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা করলেন মারণ দুর্ঘটনার মুখ থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে ফেরার প্রতিটি মুহূর্ত। ভূয়সী প্রশংসা করলেন পাইলটের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের। জবাব দিলেন অপপ্রচারের। তাঁর কথায়, এমনিতে ভালই আছি। সেদিন যদি আর ৩০ সেকেন্ড সময় নিত, তাহলে ক্র্যাশ হয়ে যেত হেলিকপ্টার। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে দিগভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে ক্র্যাশ করার মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ৩ মিনিট কোনও যোগাযোগ ছিল না এটিসির সঙ্গে। ছিল না কোনও সিঁড়ি, ফায়ার ব্রিগেড। সেদিন শুধুমাত্র চালকের তৎপরতাই মারণ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছিল কপ্টারকে। তাঁর কথায়, এয়ারবেসে হেলিকপ্টার নামার পরে লাফ দিয়ে নামতে গিয়েই চোট পেয়েছিলাম। আসলে অত উঁচু থেকে লাফ না দিয়ে উপায় ছিল না তখন। হাঁটুতে চোট পেলাম, কোমরেও চোট লাগল। কিন্তু যে ছবি দেখানো হল, সেটা তখনকার ছবি নয়। পুরনো ছবি। তখন তো কেউ ছিলই না সেখানে। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানালেন, হাঁটুতে আঘাত লেগেছে, কোমরেও লেগেছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে বলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু একটা বেড অকুপাই করে কয়েকজন চিকিৎসককে ব্যস্ত রাখতে চাইনি আমি। তাই ঘরে বসেই ৭-৮ দিন চিকিৎসা করিয়ে তারপর হাসপাতালে যাব বলে ঠিক করলাম। বললেন, এখন দিনে ৪ ঘণ্টা থেরাপি চলছে। মনের উপর দিয়ে একটা ঝড় গেলেও এখন হাঁটতে পারছি একটু একটু। তবে ৭ দিন পরেও হাঁটু আর কোমরে লাগছে। ৬ জুলাই তিনি হাসপাতালে যাবেন বলে জানালেন। ছোট অপারেশন হওয়ার কথা কয়েকটা। দ্রুত সেরে ওঠার বিষয়ে গভীর আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বেঙ্গালুরুতে বিরোধী বৈঠকে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ভোটের প্রচার করতে পারেন না রাজ্যপাল