প্রতিবেদন : দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে ইডি আর বিজেপির চাপে এনসিপি ভেঙেছেন কয়েক কোটির সেচ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অজিত পাওয়ার। এনসিপির বাকি দলবদলুদের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চলছে। কিন্তু এরপর বিধানসভায় দলত্যাগ বিরোধী আইনের ফাঁড়া থেকে বাঁচতে যে সংখ্যা প্রয়োজন তা তাঁর কাছে আছে কি না সে নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন-দেরিতে এলেই কেটে নেওয়া হবে বেতন
বুধবার এনসিপির যুযুধান দু’পক্ষই বৈঠকে বসে। অজিত প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়ক আছেন। এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল মুখে নানা দাবি করলেও খাতায়কলমে অজিতের ডাকা এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন ৩১ জন বিধায়ক। অন্যদিকে শারদ পাওয়ারের বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ১৩ জন। ৯ জন বিধায়ক কোনও বৈঠকেই যোগ দেননি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অনুপস্থিত বিধায়করা আসলে চলতি পরিস্থিতি নিয়ে জল মাপার কাজ করছেন। অজিতকে যদি দলত্যাগ বিরোধী আইনের সাজা এড়াতে হয়, তাহলে ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-বাদল অধিবেশনে আসছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল
শারদ পাওয়ার যদি বিধানসভার স্পিকারের কাছে ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাহলে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে অজিত ও তাঁর সঙ্গে থাকা বিধায়করা চরম বিপাকে পড়বেন। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, চলতি পরিস্থিতিতে এনসিপির দুই গোষ্ঠীর বিরোধ আদালত এমনকী, নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গড়াবে। এদিনের ঘটনায় বিপাকে পড়েছে বিজেপিও। অজিত গোষ্ঠীকে স্পিকারকে দিয়ে মূল এনসিপি ঘোষণা করার যে তোড়জোড় বিজেপি শুরু করেছিল, এদিনের ঘটনায় তা ধাক্কা খেল। আর এতে প্রকারান্তরে কিছুটা স্বস্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। অন্যদিকে কাকাকে ভাইপো অজিতের খোঁচা, ওঁর বয়স ৮৩ পেরিয়েছে, এখন অবসর নেওয়ার সময়।