সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : ভোট কাকে দিব, কেনে বলব? তবে একট কথা বলছি, ভোট দিছি ২০১৩-র পঞ্চাত ভোট থিকে। তার আগে ভোট (Panchayat Election) দিথি নাই। গুলি, বোমা, মারদাঙ্গা চলত। ভোট দিতে যাতি নাই তখন। বান্দোয়ান থেকে কুঁচিয়া যাওয়ার রাস্তায় একটু দূরেই বাঁদিকে ঘুরে গিয়েছে মেঠো পথ। পাশেই সিরকা গ্রাম। চড়াই উৎরাই পথে কাঠের বোঝা মাথা থেকে নামিয়ে পবিতা সিং নামের মহিলা বললেন, ২০০৮-এও এখানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এখন ওসব নেই। গা ছমছম নেই। দিদিমণি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) হওয়ার পর আমরা নির্ভয়ে আছি। ভোট (Panchayat Election) তো দিবই। তবে কাকে দিব বলব নাই। শুধু বান্দোয়ান নয়, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপরের জঙ্গলমহল এবং গোটা ঝাড়গ্রাম জেলায় আরণ্য গ্রামগুলিতে ভোট কাকে দেব, সেটা না বলাই যেন ওপেন সিক্রেট। অযোধ্যা পাহাড়ের পার্বতী সিং সর্দার থেকে ঝিলিমিলির রেবা টুডু সকলেই বলছেন দিদিমণির উন্নয়নের কথা। মাওমুক্ত জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে তাই নয়, মানুষ বহু সুযোগ পেয়েছেন। জয় জোহার পেনশন প্রকল্প পেয়েছেন বয়স্ক আদিবাসীরা। পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের লিফলেট বিলি করল তৃণমূল