প্রতিবেদন : আদালতের নির্দেশমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে ব্যর্থ অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্য ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন শুরুর আগে পর্যন্ত মাত্র ৬৬০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। যার ফল ভোগ করতে হল তৃণমূল কংগ্রেস ও আপামর সাধারণ মানুষকে। ফলে ভোটে যে প্রাণহানি হল তার দায় কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওপর বর্তায় না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-সেতুর নাটবোল্ট খোলা, এড়াল বড় রেল দুর্ঘটনা
একই সঙ্গে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ওপর কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তা রক্ষিত হয়নি। এই আদালত অবমাননার দায়ও আদতে শাহের মন্ত্রকের বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। শনিবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলেছে তেমন মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। আমরা জেলাশাসক ও এসপিকে বলে দিয়েছিলাম, সবাইকে মোতায়েন করবে।’’ আদালতের নির্দেশের পর পর্যাপ্ত বাহিনী কেন অমিত শাহের মন্ত্রক পাঠাতে পারল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-রোমাঞ্চকর মোড়ে দাঁড়িয়ে হেডিংলে
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃপক্ষ বাহিনী মোতায়েনে অব্যবস্থার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছে। কমিশনের বিরুদ্ধে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন বিএসএফের আইজি পদমর্যাদার নোডাল অফিসার সতীশচন্দ্র বুদোকোটি। শনিবার দুপুরে সেই বিএসএফ কর্তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে স্পষ্ট অভিযোগ করলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে কমিশন। ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়নি। আর সেই কারণেই স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা গেল না। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা এই চিঠির আবার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বুদোকোটিকে। তাঁর বক্তব্য, আপনার চিঠি পেয়ে আমি বিস্মিত। আপনাকে তো সবই বিস্তারিত জানানো হয়েছে।