প্রতিবেদন : ফের গৈরিকীকরণের চেষ্টা নরেন্দ্র মোদি সরকারের। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সের সর্বোচ্চ কর্তাকে এবার নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শুধু এই একটি প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের মোট ৫টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেগুলিকে কেন্দ্র আর্থিক সহায়তা করে সেই প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আচার্য, উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্ব ছিল প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সমিতি বা ট্রাস্টের ওপর।
আরও পড়ুন-লক্ষ্যর সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানিয়েছে, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমকক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বার্ষিক আয়ের থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বেশি অনুদান পায় সেখানে আচার্য এবং উপাচার্য নিয়োগ করবে শিক্ষামন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণ বলে মন্তব্য করেছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার বলেছেন, প্রথম থেকেই শিক্ষায় গৈরিকীকরণের রাস্তায় হেঁটেছে মোদি সরকার। এই স্বেচ্ছাচারী সরকার নিজেদের মর্জিমতো কাজ করছে। যতদিন ক্ষমতায় রয়েছে যা পারে করে নিক। ২০২৪ সালের পর তারা আর দেশের মানুষের সঙ্গে এরকম গৈরিকীকরণের রাজনীতি করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপরেই থাকে ইউজিসির নির্দেশিকা কার্যকর করার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন-রুদ্ধশ্বাস জয়, ভারতের সিরিজ
ইউজিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্যের দিক থেকে কোনও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে, তদন্ত কমিটি গঠন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামতই প্রাধান্য পাবে। শিক্ষাবিদরা স্পষ্ট বলছেন, ওই সব প্রতিষ্ঠানে নিয়মকানুন বদলে নিজেদের অনূকুলে নিয়ে আসবে মোদি সরকার। ইউজিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির অনুমোদন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রক একটি নির্বাচনী কমিটি তৈরি করবে। তার মাধ্যমেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।