প্রতিবেদন : দারিদ্র, লিঙ্গবৈষম্য, স্কুলছুটের সংখ্যা আগামিদিনে বাড়বে ভারত-সহ গোটা বিশ্বেই। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫৭.৫ কোটি মানুষ চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে পড়বেন। দেখা দেবে তীব্র অর্থনৈতিক বৈষম্য। স্কুলের মুখ দেখা হয়ে উঠবে না প্রায় সাড়ে আট কোটি শিশুর। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক ও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) এই রিপোর্ট ভারতের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট আশঙ্কার। মোদি সরকারের আমলে দেশে দারিদ্র, অপুষ্টি ক্রমশই বাড়ছে। ব্যাপক হারে কমছে কর্মসংস্থান। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। দেশের অধিকাংশ পরিবারকে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য পরিবারের সকল সদস্যকেই কাজ করতে হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। স্বাভাবিকভাবে শিশুদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা আরও বাড়ছে। কর্মসংস্থানের অভাবে এমনিতেই দেশে দারিদ্র বাড়ছে। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, সামাজিক বৈষম্য তীব্র হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত-সহ গোটা বিশ্বেই লিঙ্গবৈষম্য যেভাবে বাড়ছে তাতে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আনতে লাগবে আরও ২৮৬ বছর।.
আরও পড়ুন-রহস্য মৃত্যু প্রাক্তন রুশ সেনাকর্তার
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ১৭টি ক্ষেত্রে নানা বিষয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু ১৪০টি লক্ষ্যের মাত্র ১৫ শতাংশ চলতি দশকে পূরণ হতে পারে। এই লক্ষ্য পূরণের বাধা হিসেবে মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ব রাজনীতির চলতি উত্তেজনা, জলবায়ু বদলের সমস্যা, সর্বোপরি করোনা মহামারীকে দায়ী করা হয়েছে। বিশ্বের ১০৪টি দেশের উপর করা সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে তিন দশকে যে অগ্রগতি হয়েছিল করোনার কারণে তা অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। এই সমস্ত পরিস্থিতির কারণে খেতে না পাওয়া মানুষের সংখ্যা ২০০৫ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনি গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বের সমস্ত দেশ যদি অবিলম্বে সক্রিয় না হয় তাহলে কোনও লক্ষ্যমাত্রাই নির্দিষ্ট সময়ে পূরণ করা সম্ভব হবে না। যার অর্থ গোটা বিশ্বের অগ্রগতি থমকে যাবে। বৈষম্য হবে মাত্রাছাড়া।