ফের তৃণমূলেরই। ৭০ আসনের ৫৬ আসনে জয়ী তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৪টি।
সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল-ঝড় অব্যাহত। গদ্দার অধিকারীদের সঙ্গে যে জেলাবাসীরা যে নেই, তা ফলাফলে স্পষ্ট। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত— সব ক্ষেত্রেই গদ্দার অধিকারী ও বিজেপি তৃণমূলের কাছে হালে পানি পায়নি। জেলা পরিষদ ফের তৃণমূলেরই। ৭০ আসনের ৫৬ আসনে জয়ী তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৪টি। ২৫ পঞ্চায়েত সমিতির ১৯টিতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। দুটি ত্রিশঙ্কু। পঞ্চায়েত সমিতিতেও বিজেপির পদ্ম সেভাবে ফোটেইনি। ২২৩ আসনে তৃণমূলের ১৩৭। ত্রিশঙ্কু ২৪। কংগ্রেস মাত্র ১।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল পাহাড়বাসী
২০১১-য় রাজ্যে পালাবদলের আগের পঞ্চায়েত ভোটে দুটি জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। তার একটি ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলা পরিষদে এবারও তৃণমূলের জয়পতাকা উড়ল। জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তৃণমূলের উত্তম বারিক খেজুরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। উন্নয়নী কাজের জেরে খেজুরিবাসী তাঁকে জিতিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা বিরাট ব্যবধানে জেলা পরিষদ আসনে জিতেছেন। তাঁর দেশপ্রাণ ব্লক এলাকায় বিজেপি একটাও অঞ্চলে জিততে পারেনি। আবার প্রথমবার জেলা পরিষদ আসনে নেমে জিতেছে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান আনোয়ারউদ্দিন। জেলা পরিষদে যেসব নতুন মুখ ছিলেন তাঁদের অধিকাংশ জিতেছেন। মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে তলে তলে একজোট হয়েছিল। কিন্তু এই রামধনু জোটকে জেলাবাসী সমর্থন করেননি।