দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের অত্যাচার। মৃত্যু। যার ফল দেখা গেল ভোটবাক্সে। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে বিএসএফের অত্যাচারেও পরেও নীরব থেকেছে কেন্দ্র। অত্যাচারিত গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ায়নি রাজ্যের বিজেপি। অভিযোগ জানিয়েও ন্যয়বিচার পাননি গ্রামবাসীরা। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিহত পরিবারগুলির পাশে থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election Result) ফলে পাশে থাকায় তৃণমূল কংগ্রেসকে দেশের প্রতি ভালবাসা উজাড় করে দিলেন গ্রামবাসীরা। যেখানে কার্যত দাঁত ফোঁটাতে পারল না বিজেপি। হাড়িপুকুর গ্রামের ১৭৮ নং বুথে ১৯৬ ভোটে এবং ১৭৭ নং বুথে ৭৩ ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে উজাল গ্রামের ১৮৬ নং বুথে ২৩৩ ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হিলির উচা গোবিন্দপুর গ্রামেও তৃণমূলের ভোট (Panchayat Election Result) বেড়েছে আগের থেকে অনেকটাই। সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামে বসবাস করার কারণে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন যাপনে বিএসএফ হস্তক্ষেপ করছে। যে কারণে তাঁরা বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। হিলি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মিহির সরকারের অভিযোগ, সীমান্ত গ্রামের গ্রামবাসীদের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হেনস্থা করছে বিএসএফ। অভিযোগ, সীমান্তে কাঁটাতারে থাকা গেট একবার গেট খুললে ১২টার সময় গেট বন্ধ হয়ে যায়, চিকিৎসার প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করার মতো সমস্যা রয়েছে সীমান্ত এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ আত্মীয়স্বজন এলেও জবাবদিহি করতে হয় বিএসএফকে, বিবাহ বা অনুষ্ঠান করতে গেলেও লাগে বিএসএফের অনুমতি। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা অর্পিতা ঘোষ বলেন, সাংগঠনিকভাবে দল অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাফল্যের ওপর মানুষ তার উপরে আস্থা রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়ার বঞ্চনা মানুষ ভালভাবে নেয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির প্রভাব রয়েছে। হিলি ব্লক তথা সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বড় জয় নিয়ে তিনি বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, বিজেপির হাতে টাকা ছিল ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিল কিন্তু মানুষের কাছে যাওয়ার মতো লোক ছিল না।
আরও পড়ুন-৩৫৫-র পরিস্থিতি তৈরি করতে যা-যা করতে হয়, আমি করব, চক্রান্ত ফাঁস গদ্দারের