প্রতিবেদন: লক্ষ্য চাপ কমিয়ে দক্ষতা বাড়ানো, আরও নিখুঁত করে তোলা দৈনন্দিন কাজ। কলকাতা পুলিশের অপারেশন পদ্ধতি এবং কৌশলকে আরও অত্যাধুনিক করে তুলতে এবারে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। দৈনন্দিন কাজে এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। এর প্রাথমিক রূপরেখা তৈরির জন্য সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে। গোয়েন্দা বিভাগ, এসটিএফ এবং ট্রাফিক পুলিশের পদস্থ কর্তারা মতবিনিময় করেছেন নিজেদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-সরব দেবাংশু
স্থির হয়েছে, বিভিন্ন পাশ্চাত্য দেশের পুলিশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে ব্যবহার করে অত্যাধুনিকতার পথে এগিয়ে চলেছে তা খতিয়ে দেখা হবে গভীরভাবে। সেই মডেলের উপরে ভিত্তি করে দেশ, রাজ্য এবং মহানগরীর পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রস্তুত করা হবে এআই-নীতি। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, চ্যাট জিপিটি প্রযুক্তিকেই আপাতত প্রসারিত ভাবে কাজে লাগানো হবে কলকাতা পুলিশের অপারেশনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। রেকর্ড সংরক্ষণ, বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করা, রিপোর্ট বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাহিনী মোতায়েনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো-সহ গোটা পুলিশি ব্যবস্থাকে মসৃণ করে তুলতে এই প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা নেবে। এরপরে চিহ্নিত করা হবে অন্যান্য জরুরি ক্ষেত্রগুলো।
আরও পড়ুন-মফসসল মসলন্দপুরের গর্ব ইসরোর গবেষক নীলাদ্রি
লক্ষণীয়, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিশেষ উপযোগী পুলিশ কন্ট্রোলরুমে। ডেটা প্রসেসিং এবং বিশ্লেষণ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব এই প্রযুক্তিতে। অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং-এর ট্রান্সক্রিপশন, বিদেশি ভাষা থেকে দ্রুত অনুবাদ করে অপরাধের কিনারা এবং দমনের ক্ষেত্রে ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুলিশের দক্ষতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে এ আই।