প্রতিবেদন : অসমের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে তৈরি করা খসড়ার বিরোধিতায় করছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস-সহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল। ওই খসড়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি। ২০ জুন অসমের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের সীমানা পুনর্বিন্যাস পদ্ধতির বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিরোধীদের তরফে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী ফুজাইল আহমেদ আয়ুবি।
আরও পড়ুন-পিএফ প্রক্রিয়া আরও সহজ হচ্ছে
মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ঘনকান্ত সুকিয়া, অসম জাতীয় পরিষদের নেতা লুরিনজ্যোতি গগৈ, কংগ্রেসের দেবব্রত সইকিয়া, রাইজোর দলের নেতা অখিল গগৈ, সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন তালুকদার, সিপিআইয়ের মুনিন মোহান্ত, আঞ্চলিক গণপরিষদ নেতা দিগন্ত কোনওয়ার, এনসিপির মহেন্দ্র ভুঁইঞ্যা এবং আরজেডি নেতা স্বর্ণ হাজারিকা। অসমের ১২৬টি বিধানসভা ও ১৪টি লোকসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রিপুন বোরা বলেছেন, বিজেপির সুবিধা করে দিতে এই আসন বিন্যাস করা হয়েছে। তাই আমরা এই পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন-গদ্দার অধিকারীর উসকানির জেরে খেজুরিতে নৃশংস তাণ্ডব বিজেপির
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জনবসতি যাতে সমান থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জনগণনার ওপর ভিত্তি করে বিরোধী নেতাদের দাবি, প্রতিটি বিভাগের ক্ষেত্রে আলাদা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে, সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ছোট আসনের আওতাধীন এলাকায় জনসংখ্যায় ৩৩ শতাংশ পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও জনগণনা আইন ১৯৫০-এর ৮এ ধারার বিরোধিতা করা হয়েছে।
এদিকে ১২ জুলাই দিল্লিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সবজির মূল্যবৃদ্ধির জন্য অসমের মুসলিম সমাজকে দায়ী করেন। এই ধরনের ঘৃণাসূচক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রিপুন তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।