যতদিন এগোচ্ছে আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia- Ukraine) যুদ্ধ। গত বছর যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে আচমকাই বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্যশস্যের অভাব। কারণ, বিশ্বের একাধিক দেশে শস্য রপ্তানি করে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ। পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরেই ১৬০ কোটি মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক, কোনও না কোনও সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এর মাঝেই ফের রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে (Black Sea) ইউক্রেনীয় (Missile Attacks- Ukraine) বন্দরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য এবং গুদাম। ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার এই হামলার ফলে তীব্র নিন্দা করেছে জার্মানি এবং ফ্রান্স।
জার্মান বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুতিনের নির্দেশে রুশ সেনা ওডেসায় বোমা ফেলে বিশ্বে শস্য জোগানে তীব্র আঘাত হানছে (Missile Attacks- Ukraine)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গরিবদের পেটে লাথি মারছেন। ওডেসার সামরিক মুখপাত্র ব্রাতচুক রাশিয়ার সমালচনা করেছেন। বলেছেন, ভয়াবহ হামলা হয়েছে বন্দরে। ৬০হাজার টন শস্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শস্যগুলি বড় জাহাজে তুলে নিরাপদ করিডর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরে আসা জাহাজগুলিকে অস্ত্রবাহী বলে গণ্য করা হবে। সেই মতো ব্যবস্থা নেবে রুশ সেনা।
আরও পড়ুন- ব্রডের রেকর্ডের দিনে স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়া
২৪ জুলাই, ২০২২ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলির মাধ্যমে শস্য রফতানি মঞ্জুর করে রাশিয়া। কিন্তু সোমবার ওই চুক্তি থেকে সরে আসে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। আর মঙ্গলবারেই ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ওডেসা এবং মাইকোলাইভে হামলা চালায় রুশ সেনা। এরপর বুধবার রাতভর পর্যন্ত ওডেসা এবং করনোমোর্স্কে কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর ও শস্য টার্মিনালগুলিকে নিশানা করে ক্ষেপণান্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রফতানিকারী দেশ হল ইউক্রেন। স্বাভাবিকভাবেই ওই দেশ থেকে এখন শস্যের যোগান বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে। হু হু করে দাম বাড়বে শস্যের। বিশ্বজুড়ে দেখা দিতে পারে খাদ্য সঙ্কট।