প্রতিবেদন : প্রয়াত মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র তাঁকে প্রথমবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরিয়েছিলেন। কেরল পুলিশ থেকে মোহনবাগানে সই করেছিলেন ১৯৯১ সালে। ২১ বছরের তরুণ তখন শুধুই ফুটবলের ভাষা জানতেন। প্রয়াত সচিবের বাড়িতে একমাস থেকেই ক্লাবে প্র্যাকটিসে আসতেন অঞ্জনের উপহার দেওয়া এক স্কুটারে।
আরও পড়ুন-দাপটে জয় ইস্টবেঙ্গলের
প্রাক্তন মোহনবাগান সচিবের ৭৬তম জন্মদিনে তাঁরই নামাঙ্কিত ক্লাবের নতুন মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করতে এসে কলকাতায় শুরুর দিনগুলির স্মৃতিতে ডুব দিয়েছিলেন আই এম বিজয়ন। ভারতীয় ফুটবলের একদা গোলমেশিন মোহনবাগান নিয়ে আবেগতাড়িত হয়েও বর্তমান ভারতীয় ফুটবল দলের সাফল্য নিয়ে প্রশংসা করতে ভুললেন না। একই সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকায় এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দল না পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গেও যে তিনি একমত নন, তাও বুঝিয়ে দেন ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান। বিজয়ন জানিয়ে দেন, এশিয়াডে দল পাঠানো উচিত। তাঁর আশা, সরকার দল পাঠানোর উদ্যোগ নেবে।
আরও পড়ুন-‘হৃদয় পুড়ে যাচ্ছে, হৃদয় কাঁদছে’, ২১ জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মণিপুর নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বিজয়ন ছিলেন প্রয়াত ক্লাব সচিবের সব থেকে প্রিয় ফুটবলার। তাঁকে সামনে রেখে এবং অঞ্জনের কাছের মানুষদের নিয়েই মঞ্চে কেক কাটা হয়। তার আগে গ্যালারির নিচে মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন করেন ভারতীয় ফুটবলের কালো হরিণ। বিজয়নকে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের স্বাক্ষর করা স্মারক উপহার দেওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘অঞ্জনদাই আমার অনুপ্রেরণা। ওঁকে দেখেই আমি শিখেছি।’’ স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত সচিবের কন্যা-সহ পরিবারের সদস্যরা। বিজয়ন বলেন, ‘‘মোহনবাগানে না খেললে আমি আই এম বিজয়ন হতে পারতাম না।’’
আরও পড়ুন-মহিলাদের ফিফা বিশ্বকাপ শুরু আগেই অকল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলা, মৃত ৩
ভারতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত হলেও এশিয়াডে জাতীয় ফুটবল দল না পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তের পরিবর্তন চান বিজয়ন। বলেছেন, ‘‘আমরাও চাই, দল এশিয়াডে অংশগ্রহণ করুক। এশিয়াডে শক্তিশালী দলগুলির সঙ্গে খেললে আমাদের পারফরম্যান্সের আরও উন্নতি ঘটবে। আশা করি, সরকার সিদ্ধান্ত বদলে দল পাঠানোর উদ্যোগ নেবে।’’