ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার, নয়াদিল্লি: আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো মণিপুরে গিয়েছিলাম আমরা দলের পাঁচজন। আমি ছাড়াও দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন এবং সুস্মিতা দেব। বুধবার যখন আমরা কলকাতা থেকে রওনা হয়ে ইম্ফল বিমানবন্দরে পৌঁছলাম তখনও আমাদের ধারণা ছিল না পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ! পুরো ইম্ফল জুড়ে কারফিউ। প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এখনও পর্যন্ত ৩৫০টি গির্জা এবং ৫ হাজার বাড়ি জ্বালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-সংবিধান ভেঙে পড়েছে, কড়া নিন্দায় সুপ্রিম কোর্ট
দুই জনজাতির সংঘর্ষে অসহায় রাজ্যবাসী। পুরো মণিপুর জুড়ে ৬০ হাজার বাহিনী রয়েছে। তা সত্ত্বেও দুমাসের বেশি সময় ধরে জ্বলছে মণিপুর। ভয়াবহ অবস্থা সেখানকার অস্থায়ী শিবিরগুলির। খাবার, ওষুধ, পানীয় জল, বেবিফুড থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনধারণের সব কিছুরই চরম অব্যবস্থার ছবি চারিদিকে। আমরা ত্রাণশিবিরগুলোয় যেতেই মানুষজন তাঁদের ক্ষোভ, চাহিদার কথা জানাতে থাকলেন। মানুষের দুর্দশার ছবি দেখার পর আমরা গেলাম রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের কাছে। তিনি আমাদের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন।
আরও পড়ুন-মণিপুরের নৃশংসতা সভ্যতার লজ্জা
তিনি বললেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারি আধিকারিকরা পুরোপুরি অসহযোগিতা করছেন, তাঁর দেওয়া নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, তিনি মণিপুরে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য আর্জি জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রাজ্যপাল বললেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। তারপরও উনি মণিপুর নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখেননি। রাজ্যের মানুষ মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে চাইছে। রাজ্যপাল আমাদের আর্জি জানিয়ে বললেন, আপনারা সংসদে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ তুলুন। খোদ রাজ্যের রাজ্যপালেরই কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারের উপর আস্থা নেই। উল্টে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চান!