মণিপুরের নৃশংসতা সভ্যতার লজ্জা

এ ঘটনায় ১৮ মে পুলিশে অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়, তরুণীকে প্রকাশ্য দিনের আলোয় নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছিল

Must read

নয়াদিল্লি: মণিপুরে কুকি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে নগ্ন করে পাশবিক অত্যাচারের একটি ভিডিও প্রকাশের একদিন পর সেদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন এক নির্যাতিতা। তাঁর দাবি, ঘটনার দিন পুলিশই তাঁদের উন্মত্ত জনতার হাতে তুলে দিয়েছিল। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া দুই মহিলার বয়স যথাক্রমে ২০ এবং ৪০-এর কোঠায়। একদল পুরুষ তাঁদের নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে একটি মাঠের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। কয়েকজনকে দেখা যায়, ওই দুই মহিলাকে জোর করে টেনে মাঠের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ ২০২৩, শাহরুখ আইসিসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার

এ ঘটনায় ১৮ মে পুলিশে অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়, তরুণীকে প্রকাশ্য দিনের আলোয় নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। অভিযোগে নির্যাতিততা জানান, কাংপোকপি জেলায় তাদের গ্রাম আক্রমণ করে একদল জনতা। সে সময় তাঁরা জঙ্গলে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। থউবাল পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় থানা থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে একদল জনতা পুলিশের হেফাজত থেকে তাঁদের ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ তাঁদের বাঁচানোর বা উদ্ধার করার কোনও চেষ্টাই করেনি।

আরও পড়ুন-মোহনবাগান মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধনে অঞ্জন স্মরণ, এশিয়াডে যাক দল : বিজয়ন

তরুণী অভিযোগ করেছেন, সেদিন যে উন্মত্ত জনতা গ্রাম আক্রমণ করেছিল তাদের সঙ্গেই ছিল পুলিশ। পুলিশ আমাদের বাড়ির কাছে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উন্মত্ত জনতার হাতে তুলে দিয়েছিল। তরুণীর দাবি, ঘটনার দিন তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন তাঁর বাবা এবং ভাই। ঘটনার দিন যে সব পুরুষ ছিল, তিনি তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতে পেরেছিলেন। যার মধ্যে একজন ছিল তাঁর ভাইয়ের বন্ধু। তবে তিনি এবং তাঁর পরিবার ওই ভিডিওটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে নির্যাতিতার দাবি। সর্বোচ্চ আদালত থেকে দেশের সর্বস্তরে কড়া নিন্দার চাপে অতি সংক্ষেপে গণধর্ষণের নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মণিপুরের অশাম্তি নিয়ে যথারীতি তাঁর মুখে কুলুপ।

Latest article