প্রতিবেদন : গোটা দেশকে লজ্জা দিচ্ছে বিজেপির মণিপুর। একের পর এক ভয়ানক, মারাত্মক, শিহরন জাগানো ঘটনা সামনে আসছে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার তা চেপে দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। যে ভিডিও নিয়ে বিতর্ক, সেই ভিডিওতে গণধর্ষণের পর দুই মহিলাকে নগ্ন করে প্যারেড করানোর দৃশ্য রয়েছে। শিহরিত হয়েছে গোটা দেশ। শনিবার আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল। যে ঘটনায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়। দুটি ঘটনাই ৪ মে তারিখে ঘটেছে। যাদের একজনের স্বামী ছিলেন কারগিল যুদ্ধের জওয়ান। ঘটনার পর যিনি করুণ আর্তিতে জানিয়েছিলেন, দেশকে রক্ষা করেছি, কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলাম না।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ১৬ মে এফআইআর হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যাঁদের খুন করা হয়েছে তাঁদের বয়স বছর কুড়ি। কুকি সম্প্রদায়ের। গাড়ি ধোয়ার ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। সেখান থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা কঙ্গপোকি জেলা সাইকুল থানার। দু’জনের দেহই এখনও মর্গে রয়েছে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ভয়ে সরকার শেষকৃত্য পর্যন্ত করেনি। শুধু এখানেই শেষ নয়, জাতি দাঙ্গায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ নেয়নি।
আরও পড়ুন-মাতৃভাষাতেও পঠনপাঠন সিবিএসইতে
স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন
প্রতিবেদন : শিউরে উঠতে হয়। মণিপুরের কাকচিং জেলার সেরউ গ্রামে ৭২ বছরের বৃদ্ধা ইবেতম্বির বাড়ি ঘিরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁর ২২ বছরের নাতি প্রেমকান্ত দৃর্বৃত্তদের আটকাতে গেলে গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি। বৃদ্ধার স্বামী ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের হাত থেকে সম্মাননা নেওয়ার ছবিও রয়েছে।
আরও পড়ুন-সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদি সরকার
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর কথা আরও ভয়াবহ। তিনি বলছেন, এমন ঘটনা এমন আরও ঘটেছে। অথচ বিজেপি সরকার মৌনতা নিয়ে চলছে। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪ দিন মণিপুরে থেকেও এসব কথা জানতে পারেননি! এ কী বিশ্বাসযোগ্য? যে মহিলা কমশন বিরোধী-সহ অন্য রাজ্যে কথায় কথায় প্রতিনিধি পাঠায় তারাও তো জানত। কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?
আরও পড়ুন-লড়াই করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কলঙ্কিত মণিপুর
* ৪ মে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন
* ৪ মে দুই মহিলাকে গণধর্ষণের পর বিবস্ত্র ঘোরানো হয় রাস্তায়
* ঘটনা যে থানা এলাকায়, তাকেই সেরা থানার তকমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার
* মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলে বলছেন, এই ধরনের ঘটনা বহু ঘটেছে মণিপুরে
* নির্যাতিতাদের অভিযোগ, পুলিশই উন্মত্ত জনতার হাতে তাদের তুলে দেয়
* ১২ জুন মহিলা কমিশনকে জানালেও ঘটনা চাপা দিতে নিশ্চুপ ছিলেন চেয়ারপার্সন
* এক কুকি যুবককে খুন তার কাটা মুন্ডু বাঁশের মাথায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল
* ঘটনা যাতে দেশে না ছড়ায় তার জন্য টানা দু’মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট
* স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে এসে সবকিছুই জেনেছিলেন। জানতেন প্রধানমন্ত্রীও