প্রতিবেদন : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এগারো হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের আগে যাতে তালিকা নিয়ে ফের কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে।
আরও পড়ুন-রেলের নোটিশে অশান্তির শঙ্কা
পর্ষদ সূত্রের খবর, প্রার্থীদের তরফে দেওয়া টেটের নম্বরের সঙ্গে তাদের সার্ভারে থাকা টেটের নম্বরের ফারাক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রার্থীদের তরফে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের তরফে দেওয়া বিভিন্ন নথি ও শংসাপত্র বৈধ না নকল তাও যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের জমা দেওয়া সার্টিফিকেট বা রেজাল্ট নিয়ে কোনও সন্দেহ হলে পর্ষদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক সংসদের থেকেও সেই প্রার্থী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন-চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন দিদি কাঁপছে এখন বিজেপি
সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তদন্তে টেটের নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবার প্রার্থীদের তরফে দেওয়া টেটের নম্বরের সঙ্গে সার্ভারে থাকা নম্বরের মিল রয়েছে কি না তা আগেভাগেই খতিয়ে দেখছে পর্ষদ। শুধু তাই নয়, একাংশের মতে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে যে মনোভাব পর্ষদ সম্পর্কে তৈরি হয়েছে সেই ভাবনাকে বদল করার জন্য এবার প্যানেল বা মেধাতালিকা প্রকাশের আগে একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, “গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হলেই আমরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করব। প্যানেল বা মেধাতালিকা নিয়ে যাতে কোনওরকম অভিযোগ না ওঠে তার জন্য সবরকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”