সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই মানুষের মনে ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগ নিল মোদি সরকার। সেই কারণে করোনাকাল থেকে দফায় দফায় সুদের হার কমানোর পর অবশেষে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)-র সুদের হার কিছুটা হলেও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। সুদ বাড়ল ০.৫ শতাংশ। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য EPF অ্যাকাউন্টের জন্য সুদের হার ৮.১০ শতাংশের পরিবর্তে দেওয়া হবে ৮.১৫ শতাংশ করে।
আরও পড়ুন- মণিপুর ইস্যুতে তোপ দেগে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার ঘোষণা পরিষদীয় মন্ত্রীর
২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য এই সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সোমবারই ছাড়পত্র দিয়েছে ইপিএফ। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত আর্থিক বছরে আমানতের উপরে ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। ইপিএফ কর্তৃপক্ষ (EPFO) তাদের সমস্ত শাখা অফিসকে জানিয়েছে, ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ আমানতকারীদের অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার ১৯৫২ এর কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমের প্যারা ৬০(১) এর অধীনে এই সুদ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইপিএফ(EPF) স্কিমের প্রতিটি সদস্যকে এবার থেকে এই হারে সুদ দিতে হবে। তবে সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও গত কয়েক বছরে যেভাবে দফায় দফায় সুদ কমিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তার তুলনায় এই সুদ বৃদ্ধি অত্যন্ত সামান্যই বলে দাবি করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। অবশ্য রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মানুষের মন জয়ে সচেষ্ট মোদি সরকার। তাই চেনা অঙ্কে এখন থেকেই জনদরদী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আগে ২০১৮-১৯ সালে ইপিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, এরপর থেকে কোভিড কালে দফায় দফায় সুদ কমিয়ে তা নামিয়ে আনা হয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই সুদ একেবারে নামিয়ে আনা হয় ৮.১ শতাংশে। সেখান থেকেই এবার ভোটের আগে সাধারণ মানুষকে কাছে টানতে সুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার।