প্রতিবেদন : ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। বিভিন্ন পুর এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং। মাসখানেক আগে থেকেই চলছে সচেতনতার প্রচার। কিন্তু এই সচেতনতায় সর্বত্র সাড়া মিলছে না। ফলে ডেঙ্গি দ্রুত ছড়াচ্ছে। কলকাতা পুরসভা চায় বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের বিমানবন্দর অথবা স্থলবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করতে। এজন্য পুর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য দফতরকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন-৬৫ তলা থেকে বেস জাম্প, ডুরান্ড কাপের ট্রফি উন্মোচনে অভিনবত্ব
এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার দক্ষিণ দমদম এলাকায় রিঙ্কি রায় মজুমদার নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত মশাবাহিত এই রোগে এক শিশু সহ ৫ জনের মৃত্যু হল। গত ২১ জুলাই লেকটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ৩০ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। একই দিনে ডেঙ্গি প্রাণ কেড়েছিল নদিয়ার দুই বাসিন্দার। এর মধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় রানাঘাটের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর এক মহিলার। ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধ। গত শনিবার পার্ক সার্কাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে কলকাতার পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা ১০ বছরের বছরের এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছিল। প্রত্যেকেরই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন-দু’ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হরমন
রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এর মধ্যে নদিয়া জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঙুর হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসায় ডাক্তার ও নার্সদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ দল। ডেঙ্গি ওয়ার্ডের জন্য ওই হাসপাতালে একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে। করা হয়েছে।