প্রতিবেদন : দিনের পর দিন বিধানসভায় বিজেপির বেয়াদবিতে বিরক্ত অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অধিবেশন কক্ষেই বিজেপির বিধায়কদের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ অত্যন্ত কড়াভাবে জানালেন, আমার টেবিল কোনও ‘পোস্ট অফিস’ নয়। যখন ইচ্ছে হল একটা দরখাস্ত ফেলে দিয়ে গেলাম। তা নিয়ে আলোচনা চাইলাম। আর মঞ্জুর না হলে হইহট্টগোল করে বেরিয়ে গেলাম। এ-জিনিস চলতে পারে না। বিধানসভার কিছু নীতি ও রীতি আছে। নিয়মকানুন মেনেই সকাল ১১টার আগে অফিসে দরখাস্ত দিতে হয়। তারপর সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ হয়। কিন্তু আপনরা যা করছেন প্রায়শই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের মর্জিমাফিক চলতে চাইছেন। এটা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-শিগগিরই দিঘায় চালু হবে মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা ১১ কোটির, আন্তর্জাতিক মানের মৎস্য নিলামকেন্দ্র
প্রসঙ্গত, বুধবার বিজেপির এক মহিলা বিধায়ক অধিবেশন কক্ষেই অধ্যক্ষের টেবিলে একটি দরখাস্ত দিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে সে-বিষয়ে আলোচনা চান। স্বাভাবিকভাবে অধ্যক্ষ তা মঞ্জুর করেননি। তা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন ওই বিধায়ক-সহ বাকি বিধায়কেরা। তাঁদের মর্জিমতো বিষয়ে আলোচনা না হওয়ায় হইহট্টগোল করে ওয়াক আউট করেন। প্রতিনিয়ত এ-জিনিস ঘটতে থাকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বাধ্য হয়েই বুধবার কড়া ধমক দিয়েছেন বিজেপি বিধায়কদের। কারণ বিধানসভা ‘বিলংস টু অপজিশন’ এই ইংরেজি আপ্তবাক্যটি আদতে মানে না বিজেপি।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যগুলিতে কেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নয়? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
আর গঠনমূলক বিরোধিতা সম্পর্কে বর্তমান বিজেপি বিধায়কদের (দলবদলু গদ্দার বিরোধী দলনেতা-সহ) কোনও ধ্যানধারণাই নেই। তাই বিধানসভায় এদের নাম হয়েছে ‘হট্টগোল বিজেপি’। আসলে স্পিকার বিরোধী দলকে একদিকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার, অপরদিকে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে বিধানসভায় আলোচনার জন্য বলেছেন। কারণ বরাদ্দ সময় তারাই নষ্ট করে।