নয়াদিল্লি: সংসদে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে ইন্ডিয়া জোট অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এলেও তা নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না করে একের পর এক বিল পাশ করিয়ে নিচ্ছে কেন্দ্র। সোমবার সেই বিষয়টি তুলে ধরে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হল ইন্ডিয়া জোট। অতীতে কখনও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য বিরোধী সাংসদদের। তাঁদের অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব বকেয়া রেখে একের পর বিল পাশ করানো সংসদীয় গণতন্ত্র এবং রীতির পক্ষে ক্ষতিকারক।
আরও পড়ুন-মস্কোয় ড্রোন হামলা নিয়ে ইউক্রেনকে কড়া বার্তা
অনাস্থা নিয়ে কবে আলোচনা হবে, এখনও তা জানাননি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন বলে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের বলেছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৫৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ২৮টি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে লোকসভায়। আর সেই সময়ে মাত্র ২টি বিল পাশ হয়েছে। অথচ এবারের বাদল অধিবেশনে অনাস্থা আনার পরও গড়ে ৪টি করে বিল দৈনিক পাশ করাচ্ছে মোদি সরকার। ইন্ডিয়া জোটের এক নেতার কথায়, এই পরিস্থিতি অভাবনীয়। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা বকেয়া রেখে বিল পাশ করানোর বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে লোকসভায় আনার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হচ্ছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন-আজব শখ বটে! মানুষ থেকে কুকুর
অনাস্থা প্রস্তাব জমা হয়েছে, স্পিকার গ্রহণ করেছেন। অনাস্থা প্রস্তাব যখন গৃহীত হয়, তখন অন্য কোনও বিল বা প্রস্তাব আনা উচিত নয় বা আনা যায় না। সুদীপের কথায়, স্পিকারের ঘরে গিয়ে তাঁকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের তরফে। স্পিকার জানান, বিজেপি বা সরকারপক্ষের দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। সব দিক থেকে মনে হচ্ছে, সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে খুব বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে দেশ। সংসদীয় গণতন্ত্রকে টুঁটি চেপে মেরে ফেলা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত চলতি বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমদিন বিরোধী শিবিরের দিকে একবারের জন্য এসেছিলেন এবং কার্গিল বিজয় দিবসের দিন এক মিনিটের জন্য সভায় এসেছিলেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অতীতের প্রধানমন্ত্রীদের থেকে এটা প্রত্যাশা করাও যেত না, ভাবাও যেত না। এদিকে জল্পনা থাকলেও শেষপর্যন্ত রাজ্যসভায় পেশ হয়নি দিল্লির অর্ডিন্যান্স বিল।