প্রতিবেদন : দুই কৃতী বাঙালিকে সম্মাননা প্রদান করল নবজাগরণ। বুধবার। সম্মানিত হলেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও লেখক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় (Mani shankar Mukherjee)। আজ থেকে ২৫ বছর আগে অশোক দাশগুপ্ত ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের মতো গুণী মানুষের হাত ধরে যে ভাবনার সাংস্কৃতিক সূচনা, আজ তার রজতজয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ। সেই উপলক্ষে তিলোত্তমার বুকে সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র নন্দন রবীন্দ্রসদন চত্বরে শিশির মঞ্চ অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান। সাহিত্যিক মণিশংকর মুখোপাধ্যায়কে এদিন সংবর্ধনা জানান সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত ও সত্যম রায়চৌধুরী। বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে (Sabitri chatterjee) সম্মান জানান অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী এবং বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সমর নাগ। গার্গী বলেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এমন এক অভিনেত্রী যাঁকে কোনওদিনই অনুকরণ করা যায় না। শুধুই অনুসরণ করতে হয়। সমর নাগ বলেন, তাঁর কাছে ‘ধন্যি মেয়ে’ সিনেমা চিরকালের সেরা। এদিন উত্তরীয় পরিয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সংগীতশিল্পী রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকেও এদিন সংবর্ধিত করা হয়। বৃষ্টি-মাখা শ্রাবণ সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বে রবি ঠাকুর, নজরুল, জীবনানন্দকে সঙ্গী করে দর্শককে আবৃত্তির সমৃদ্ধশালী এক জগতে নিয়ে যান বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিটি উপস্থাপনার শেষে অডিটোরিয়াম জুড়ে শুধুই করতালির প্রতিধ্বনি। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। মাইক্রোফোন নিয়ে ইন্দ্রনীলের গানের সুরে পরিপূর্ণ হয় এই সান্ধ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ৬ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে ধর্না তৃণমূলের, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী