পোর্ট অফ স্পেন, ২ অগাস্ট : টেস্ট ও একদিনের সিরিজ জেতার পর ভারতের সামনে এবার টি- ২০’র চ্যালেঞ্জ। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতো দুই সিনিয়র ক্রিকেটার যথারীতি এই দলে নেই। ফলে হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দলের তরুণদের সামনে নির্বাচকদের নজর কাড়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
আরও পড়ুন-মোহনবাগানের সামনে বাংলাদেশ আর্মি, আজ ডুরান্ড উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় টি-২০ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভাল। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে কিছুটা লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ক্যারিবিয়ানরা একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে যেভাবে ভারতকে কঠিন রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল তাতে টি- ২০ সিরিজেও তেমন কিছু ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে জমজমাট খেলার আবহ কিন্তু তৈরি হয়ে গিয়েছে।
যশস্বী জয়সওয়াল, তিলক ভার্মা, মুকেশ কুমারদের মতো নতুনদের কাছে এই সিরিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্জু স্যামসনের মতো পুরনো মুখেদের জন্যও। যশস্বীরা আইপিএলে ভাল খেলে জাতীয় দলে এসেছেন। তবে স্যামসনের জন্য লড়াই দেশের মাঠে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দলে ঢোকার।
হার্দিকের এই দলে তিনজন রিস্ট স্পিনার রয়েছেন। এরা হলেন রবি বিষ্ণোই, কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল। সঙ্গে অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। সিমারদের মধ্যে অর্শদীপ সিংকে বেশ কিছুদিন বাদে আবার দেখা যাবে। তাঁর সঙ্গে নতুন বল ভাগ করে নেবেন আবেশ খান, উমরান মালিক, মুকেশ ও হার্দিক।
আরও পড়ুন-ঋণ ও জিডিপির মধ্যে পার্থক্য কমে ৩৩ শতাংশ, রাজ্যের ঋণ নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে
ব্যাটিংয়ে ইশান একদিনের সিরিজে সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। তাঁর পাশে শুভমন, সূর্য, হার্দিকও রানের খোঁজে থাকবেন। ২০২৪-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় টি-২০ বিশ্বকাপ হবে। তার আগে সবাই চাইবেন ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই সিরিজের জন্য সাই হোপ ও ওশেন টমাসকে ফিরিয়ে এনেছে। হোপ গতবছর ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। আর টমাস শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচিতে ২০২১-এর ডিসেম্বরে। এই দলের অধিনায়ক রভমান পাওয়েল।