প্রতিবেদন : এনডিএ নয়, এবার জিতবে ইন্ডিয়া। বিজেপি নয়, জিতবে বিরোধীরা। দেশকে যেভাবে খাদের কিনারে নিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁদের দল, সেখান থেকে দেশকে টেনে তুলবে ইন্ডিয়াই। শুধু দিল্লি কেন, গোটা দেশেই এবার জিতবে ইন্ডিয়া। পাটনা, বেঙ্গালুরুর জমজমাট জোট বৈঠকের পরে এই প্রত্যয়ী ঘোষণা বারবার করেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। যার অন্যতম কান্ডারি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও।
আরও পড়ুন-শুরু হল ডুরান্ড কাপ, উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনিও মনে করেন, ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে আর ক্ষমতায় ফিরবে না বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরতে হবে মোদিকে। বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বলা কথা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এবার ইন্ডিয়াই জিতবে।
আরও পড়ুন-কলকাতার মাটিতে আইটি দুনিয়ায় বিনিয়োগ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট কোম্পানির
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, বিরোধীদের জোট শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশেই জিতবে। কারণ, বিপর্যয়, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, বেকারির মতো সমস্যার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতেই এই জোট তৈরি হয়েছে। তাঁর সংযোজন, এনডিএ জোটের বর্তমান কোনও অস্তিত্বই নেই। পুরনো সঙ্গীরা ওই জোট ছেড়ে চলে গিয়েছে। বিজেপি এত কথা বলছে কী করে? ওদের অভিধান তো সংবিধানের নয়, সন্ত্রাসের। ওরা হিংসার আশ্রয় নেবে। তিনি বলেন, রং হিসেবে আমরা গেরুয়াকে অপছন্দ করি তা কিন্তু নয়। আশ্চর্য হয়ে দেখছি পেট্রোল পাম্পের কর্মীদেরও গেরুয়া পোশাক পরিয়ে দিচ্ছে। মেট্রো স্টেশনেও গেরুয়া রং করে দিচ্ছে। মানুষ এসব পছন্দ করছে না। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষেই মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক রয়েছে।
আরও পড়ুন-নবান্ন থেকে দ্বারকা নদীর উপর নবনির্মিত সেতু উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধিতার ক্ষেত্রে এককাট্টা হয়ে রণনীতি তৈরির জন্যই দফায় দফায় বৈঠক করছেন ইন্ডিয়ার নেতারা। আজ নবান্ন সভাঘর থেকে রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একসঙ্গে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল বিভিন্ন প্রকল্পের। সেইসঙ্গে ভার্চুয়ালে একটি বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-এশিয়াডে সুনীলদের কি ছাড়বে ক্লাব
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলি সব তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমি সশরীরে গিয়ে উদ্বোধন করতে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু সে কারণে প্রকল্পের দেরি হোক তা চাই না। তাই আগেই উদ্বোধন করে দিলাম। ইন্ডিয়ার নেতারা যত ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরকারকে চেপে ধরছেন, আন্দোলন-কর্মসূচি করছেন ততই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই কখনও প্রধানমন্ত্রী আবার কখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্ডিয়া জোটকে হুঙ্কার দিচ্ছেন। নয়তো কটাক্ষ করছেন। আবার অন্যদিকে, চাপে পড়ে এতদিন না থাকা তথাকথিত এনডিএ জোটের শরিকদের বাবা-বাছা করে কাছে ডাকছেন। চলতি বছরের পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের অঙ্ক ও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের পদধ্বনি নিশ্চিতভাবে চাপে রেখেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। তাই বিরোধীদের ধমক-চমকের পাশাপাশি ইডি-সিবিআই দিয়ে ক্রমগত ভয় দেখানো অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এত করেও কি কাজ হবে? আসবে প্রত্যাশিত ফলাফল? এ-নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিজেপির অন্দরেই।