গায়েনা: গায়েনার একটা ক্রিকেট ঘরানা আছে। এক সময় বার্বাডোজ, জামাইকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গতিময় পিচ তৈরি হত এখানে। কিন্তু প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের সেই কৌলীন্য এখন আর নেই। ফলে ধরেই নেওয়া যায় রবিবাসরীয় ম্যাচে বল স্লো আসবে। চাহাল, কুলদীপরা ফের ২২ গজে ছড়ি ঘোরাবেন।
দুই রিস্ট স্পিনারের চ্যালেঞ্জ উড়িয়ে ত্রিনিদাদে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India vs West Indies) জিতেছে। জিতে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০ এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে হার্দিকদের প্রধান কাজ হল সমতায় ফেরা। অধিনায়ক প্রথম ম্যাচে হেরে বলেছেন, ভাল পার্টনারশিপ হয়নি। একই ছবি আবার দেখা গেলে মুশকিল আছে ভারতের (India vs West Indies)। সুতরাং রবিবারের ম্যাচে বড় রান তুলতে হবে হার্দিকদের। যাতে ক্যারিবিয়ানদের স্পিন দিয়ে ঘিরে ফেলা যায়।
আরও পড়ুন- INDIA: নিছক রাজনৈতিক জোট নয় একটি প্রতিস্পর্ধী লড়াই
শোনা যাচ্ছে, একই দল নিয়ে গায়েনায় নামবে ভারত। তাহলে যশস্বী জয়সোয়ালকে আরও অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে শুভমন গিলকে এবার রান করতে হবে। নাহলে বাইরে কত প্লেয়ার অপেক্ষা করে আছে! প্রথম ম্যাচে শুভমন, ঈশান, সঞ্জু সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তিলক ভার্মা ২২ বলে ৩৯ রান করে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। তিনটি ছয় মেরে অধিনায়ক হার্দিকের মনও জিতেছেন মুম্বই ব্যাটার। হার্দিক বলেছেন, এমনই আরও বিস্ময় তুলে ধরবে তিলক।
১৫০ রান তাড়া করে ৪ রানে হেরেছে ভারত। পরপর উইকেট চলে যাওয়া ও পার্টনারশিপ না হওয়ার খেসারত দিয়েছেন হার্দিকরা। ব্যাটিং যে ভাল হয়নি, এটা হার্দিক বলেছেন। তা না হলে ভারত ভাল শুরু করেছিল। পরের দিকে রান করেছিলেন তিলক। কিন্তু আর কেউ জেতার মতো রসদ জোগাতে পারেননি। মুশকিল হচ্ছে যে সঞ্জু, সূর্যরা দরকারের সময় কিছু করতে পারছেন না। তাই চাপে পড়লে বেরিয়ে আসতে পারছে না হার্দিকের দল। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁদের। না হলে ব্যবধান বাড়তে থাকবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন সবথেকে শক্তিশালী এই ছোট ফরম্যাটেই। রভম্যান পাওয়েল নিজে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগের ম্যাচেও রান করেছেন। কিন্তু তারুণ্যে ভরা এই দলের ধারাবাহিকতার অভাব। সেটাই তাদের ভোগাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বিশ্বকাপে যেতে পারেনি। এরকম সিরিজে ভাল করতে পারলে হৃত সম্মান পুনরুদ্ধারের সুযোগ আছে। কিন্তু সেটা আপাতত পাওয়েলদের হাতে।