প্রতিবেদন : বাংলায় শিশুদের অপুষ্টির হার গত ১০ মাসে অনেকটাই কমেছে। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হার প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে। এই সাফল্যে উৎসাহিত দফতর এই হার আরও কমানোর ওপর জোর দিচ্ছে। তাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে উপভোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে যে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়, তা আগের তুলনায় অনেক বেশি বাচ্চা পাচ্ছে। তাতেই কমেছে অপুষ্টির হার। মারাত্মকভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে, এমন শিশুদের নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-পুলকার চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির
অল্প বা সামান্য অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সেরকম সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সামান্য যত্ন আর পুষ্টি পেলেই ঠিক হয়ে যাবে তারা। মূলত মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার শিশুদের সুস্থ করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তারই ফল এখন পাচ্ছে বিভিন্ন জেলা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মেয়েদের থেকে ছেলেদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেশি।সাধারণত শিশুদের ওজন মেপেই বোঝা যায়, সে অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে কি না। জেলায় জেলায় ৬ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের ওজন দেখে একটা পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গত বছর জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ মারাত্মক ও অল্প অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ছিল।
আরও পড়ুন-পর্যটনশিল্পে অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা, রাজ্যে ১০ লক্ষাধিক বিদেশি পর্যটক
এর মধ্যে মারাত্মক অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছিল প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ বাচ্চা। দ্রুত কিছু পদক্ষেপ না করা হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই মতো জোর দেওয়া হয় বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিদর্শনের ওপর। তাতেই অনেকটা কাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, জুনের পর থেকে প্রতি কেন্দ্রে উপভোক্তার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যেখানে ৩ থেকে ৬ বছরের ৫০ শতাংশ বাচ্চা বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করছিল, সেখানে এ বছর মার্চ মাসে সেই হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭৮ শতাংশ। তারপরই দেখা গিয়েছে, অপুষ্টির হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাবার এবং যত্নের কারণেই পরিস্থিতি ভালো হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের।