প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় লিখিতভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের বাবা। এই ঘটনার তদন্ত শুক্রবার হস্টেলের একাধিক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক প্রাক্তন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সৌরভ চৌধুরী। এই সৌরভের নামই এফআইআরে উল্লেখ করেছিলেন মৃতের বাবা। সৌরভের নেতৃত্বে তাঁর ছেলের ওপর ওইদিন রাতে অত্যাচার করা হয়েছিল বলেই অভিযোগ তাঁর। এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কাউকে আটক করল পুলিশ। বুধবার রাতে স্বপ্নদীপ কুণ্ডু নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মেন হস্টেলের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হস্টেল থাকা প্রাক্তনীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিল স্বপ্নদীপের (Swapnadip Kundu) পরিবার।
স্বপ্নদীপের বাবা জানান, তাঁর ছেলে প্রথমে হস্টেলে থাকার সুযোগ পায়নি। মেস কমিটির সদস্য সৌরভই তাঁকে হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপ্নদীপের বাবা পুলিশকে জানান, চন্দ্রকোনার বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। তাঁর সমস্যার কথা শুনে সৌরভই স্বপ্নদীপকে ‘অতিথি’ হিসেবে হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। যাদবপুরের মেন হস্টেলে মনোতোষ নামে এক ছাত্রের ১০৪ নম্বর রুমে সৌরভই স্বপ্নদীপের (Swapnadip Kundu) থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরভ ছাড়াও আরও কয়েকজন পড়ুয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়, হস্টেল সুপার তপন জানা, বাংলার বিভাগীয় প্রধান জয়দীপ ঘোষ এবং বিশ্ববিদ্যলয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- ক্ষুদ্রশিল্প বিকাশে ৩০০ কোটি তৈরি লক্ষাধিক কর্মসংস্থান