প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Chief election commissioner) এবং অন্য নির্বাচম কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল রাজ্যসভায় (Rajyasabha) পেশ করা হয়েছে। এই বিল অনুযায়ী, এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কোন ভূমিকা থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে গঠিত প্যানেলের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এই নিয়ে এবার কড়া সমালোচনায় টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকারের এই জাতীয় বিল দেশের নির্বাচনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তে নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করছে বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন-খালি জমিতে ফেলা যাবে না ময়লা, কড়া দাওয়াই পুরসভার
দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে তিন সদস্যের কমিটি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে বাকি দুই সদস্য হলেন প্রধান বিচারপতি ও বিরোধী দলনেতা। তবে ৩ সদস্যের কমিটিতে দেশের প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে আনা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দমত মন্ত্রিসভার কোন একজন সদস্যকে। এরই প্রতিবাদে এদিন সরব হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তোপ দেগে তিনি লেখেন, “বিচার ব্যবস্থার কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে নৈরাজ্যের কাছে মাথা নত করেছে বিজেপি!” একই সঙ্গে তিনি লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে একজন মন্ত্রিসভার সদস্যকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। ওদের এই ধরনের প্রস্তাবের কারণ হল ওদের নির্বাচনী কারচুপি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।” এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোটা দেশকে প্রতিবাদে সরব হওয়ার আবেদন জানিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “ভারতকে প্রশ্ন তুলতে হবে বিচার বিভাগের প্রতি এমন নির্লজ্জ অবহেলা কেন! ওরা কি দেশের বিচার বিভাগকে মন্ত্রী-চালিত ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টে’ পরিণত করতে চাইছে? আমরা ভারতের জন্য বিচার বিভাগের কাছে প্রার্থনা করি। হে ঈশ্বর, আমাদের দেশকে বাঁচান!”
আরও পড়ুন-ধর্ষণের শিকার নাবালিকা, হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিয়ে ফের গণধর্ষণ
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের মোদি সরকারের আনা এহেনো বিলের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী চাইছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিজের পছন্দের কেউ যাতে জাতীয় নির্বাচনে বিজেপি বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। তাই প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে সেই আসনে মন্ত্রিসভার কোন সদস্যকে বসানো হলে সহজেই নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে কমিশনার পদে বসানো সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের মতো স্বশাসিত সংস্থার এমন দুর্গতি আটকাতে তৎপর দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল। এরই প্রতিবাদে শনিবার টুইটারে সরব হয়ে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
Amidst calls to bow down to the judiciary, the @BJP4India instead bows to anarchy!
The CJI’s role in the 3-member committee for selecting the CEC is crucial. We strongly oppose replacing the CJI with a cabinet minister in the EC selection. The discomfort suggests their vote…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 12, 2023