প্রতিবেদন : ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল। সরকার ঔপনিবেশিক যুগের আইনগুলি শেষ করার কথা বলছে। উদ্দেশ্য হল, এই জাতীয় আইনগুলির মাধ্যমে স্বৈরাচার ফিরিয়ে আনা। রাজ্যসভার সাংসদ সিবাল ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর পরিবর্তে আনা তিনটি বিল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে ‘ফুল ড্রেস রিহার্সাল’
তাঁর মন্তব্য, এই ধরনের আইন যদি বাস্তবে পরিণত হয় তবে দেশের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, তারা (এনডিএ সরকার) ঔপনিবেশিক যুগের আইনের অবসানের কথা বলে, কিন্তু তাদের ভাবনা হল আইনের মাধ্যমে দেশে একনায়কত্ব বজায় রাখা। এমন আইন আনতে চায়, যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট, সরকারি কর্মচারী, সিএজি (কন্ট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল) এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আমি বিচারকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করতে চাই। এ ধরনের আইন পাশ হলে দেশের ভবিষ্যৎ বিপর্যস্ত হবে। বিএনএস বিলের কথা উল্লেখ করে, সিবাল বলেছিলেন যে এটি ‘বিপজ্জনক’ এবং যদি পাশ হয় তবে সমস্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের ইচ্ছায় চলতে বাধ্য থাকবে। যে আইন জনগণের শ্বাসরোধ করে তাকে মেনে নেওয়া যায় না।