বাসুদেব ভট্টাচার্য জলপাইগুড়ি: প্রশাসনিক কাজে এগিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পর ফের মহিলা ব্রিগেডের হাতেই দায়িত্ব। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণা রায়বর্মন। সহসভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন সীমা চৌধুরী।
আরও পড়ুন-ব্যাটিংয়ে গভীরতা খুঁজছেন দ্রাবিড়
কৃষ্ণা রায়বর্মন ২০১৫ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জলপাইগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। এই বছর তিনি জেলা পরিষদের ১০ নং আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। সভাধিপতি নির্বাচিত হবার পর তিনি প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জেলার উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে তাঁকে শামিল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-আরব অ্যাডভেঞ্চারে শামিল নেইমারও
এদিন তিনি জানান, জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য যতটা করা সম্ভব তিনি সবটাই করবেন। অন্যদিকে এবারই প্রথম জেলা পরিষদের আসনে জিতে এসে সহকারী সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন সীমা চৌধুরী। ২০২১ সালে গঠিত বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন সীমা চৌধুরী। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বলেন, জেলার বেশ কিছু সমস্যা আছে, সেই কাজগুলি সমাধান করতে হবে। মূলত এই জেলা বন্যাপ্রবণ, তাই বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-শেষ মুহূর্তের গোলে ৩ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের
পাশাপাশি জমির পাট্টা প্রদান, কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে চা-বাগানের উন্নয়নের বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এখানে উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ২৪ জন সদস্যের মধ্যে ১৯ জনই মহিলা। তার ওপর জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতি দু’জনই মহিলা। তাই বলা যেতেই পারে, জেলার উন্নয়ন এবার মহিলাদেরই হাতে।