প্রয়াত হলেন ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সেই দাপুটে সচিব। লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল ইস্টবেঙ্গল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ির (Suprakash Gargari)। এর ফলেই ক্লাবের বিপদে পাশে ছিলেন লতা মঙ্গেশকরক। তার আগে লতা মঙ্গেশকরের বেশ কয়েকটি কনসার্ট করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে ইস্টবেঙ্গলে কনসার্ট প্রসঙ্গে লতা মঙ্গেশকর জানতে পারেন, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দল গড়তে অর্থের প্রয়োজন। ক্লাবের সহযোগিতায় লতা মঙ্গেশকর নিজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-দেশবাসীকে শুভেচ্ছা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের
ইস্টবেঙ্গল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ি ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। লতা মঙ্গেশকরের প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘লতা দিদির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৮৫ সালে। কিশোর কুমার এবং তাঁর একটি কনসার্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেখান থেকেই লতা দিদির সঙ্গে দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯৮৮ সালে ক্লাবের আর্থিক পরিস্থিতি শোচনীয় ছিল। সেই সময় রোভার্স কাপে টিমের সঙ্গে মুম্বই গিয়েছিলাম। লতা দিদির বাড়ি যাই। আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন। তাই দেখা করাটা সমস্যা হয়নি। তাঁকে ইস্টবেঙ্গলের তরফে প্রস্তাব দিই। শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনি কেন এটা করাতে চাইছেন। ক্লাবের পরিস্থিতি এবং অর্থ তোলার প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি রাজি হয়ে যান।’
আরও পড়ুন-স্বাধীনতা দিবস: আইপিএসদের পাশাপাশি আমলাদেরও সম্মানিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতার ময়দানে এক প্রকার দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। অনেক বিপদেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে বাঁচিয়েছেন তিনি সংকটের মুখ থেকে। আজ যখন সারা দেশ স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মেতে আছে তখন ক্লাবের জন্য নেমে এল শোকবার্তা।