প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে সোমবারই মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার মৃতের বাড়িতে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা ঘোষণা করল দল। পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। আজ বুধবার তাঁরা রানাঘাটে মৃত ছাত্রের বাড়ি যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের পরই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে র্যাগিং রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন-শুরুতেই গোল পেতে চায় মোহনবাগান, কামিন্সদের সামনে মাচিন্দ্রা
যাদবপুরের ঘটনায় কড়া মনোভাব নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। এর মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ বুধবার সন্তানহারা মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে রানাঘাটে তাঁদের বাড়ি যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সর্বতোভাবে মৃত ছাত্রের পরিবারের পাশে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন— সেই বার্তাই পৌঁছে দেবেন প্রতিনিধিরা। ঘটনার পরই মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে ফোনে একপ্রস্থ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-প্রয়াত হলেন ‘সুলভ’-এর স্রষ্টা বিন্দেশ্বর পাঠক
এরই মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে র্যাগিংগিংয়ের মতো ঘটনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া মনোভাবের পর তৎপরতার সঙ্গে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—
১) রাজ্য ও জেলাস্তরে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
২) কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় থাকলে অভিযোগ খতিয়ে দেখবে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি।
৩) ভর্তির সময়ে বাধ্যতামূলক ভাবে র্যাগিং না-করা এবং র্যাগিংয়ে যুক্ত থাকবে না জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে।
৪) র্যাগিং-বিরোধী প্রচার চালাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।
এরই মধ্যে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করা হয়েছে। হস্টেলের কয়েকজন আবাসিকের একটি গ্রুপ চ্যাট ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে এসেছে। সেই চ্যাটে নাম থাকা দুই পড়ুয়াকে খুঁজছে পুলিশ। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বয়ান সামনে এসেছে। যা মৃত্যুর তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।