প্রতিবেদন : স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিজেপি সরকারের বুলডোজার নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, আদালতকে অগ্রাহ্য করে এই বুলডোজার নীতি প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্যান্য বিজেপি রাজ্যে আদালতে বিচারের অপেক্ষা না করে কোনও ঘটনার অভিযুক্তদের বাড়িঘর বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের সক্রিয় মদতে বেছে বেছে সংখ্যালঘু ও বিরোধী মতানুসারীদের ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এবার এই প্রবণতার কড়া সমালোচনা করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন-উত্তরে গঙ্গার জলস্তর ছাড়িয়ে গেল বিপদসীমা
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে আইনজীবীদের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামো সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে বাধা দূর করা। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের উপস্থিতিতেই এই মন্তব্য করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কণ্ঠস্বর সেইসব মানুষকে আত্মবিশ্বাস জোগাক যাঁদের বলপূর্বক গ্রেফতার করা হয়, যাঁদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বা যাঁদের সম্পত্তি বেআইনিভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রধান বিচারপতি এমন একটি সময়ে এই বার্তা দিয়েছেন যখন শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশই নয়, বিজেপি-শাসিত প্রায় সমস্ত রাজ্যই বুলডোজার নীতি অনুসরণ করছে।
আরও পড়ুন-নির্বাচনী ফলে কারচুপি! মার্কিন আদালতে বড় ধাক্কা ট্রাম্পের
পাশাপাশি এই বেআইনি পদক্ষেপকে নিজেদের কৃতিত্ব হিসাবে জাহির করছেন বিজেপি নেতারা। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বার, দেশের শীর্ষস্থানীয় বার হিসাবে আইনের শাসন রক্ষার পক্ষে দাঁড়াবে। ন্যায়বিচার প্রদানে আদালতের ক্ষমতার প্রতি আমাদের আস্থা তৈরি করতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে লাইনে থাকা শেষ ব্যক্তিও যেন ন্যায়বিচার পায়। তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে কাজ করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিচারবিভাগেরই।