যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) নৈরাজ্য চলছে। এসব বন্ধ করতে হবে। মৃত ছাত্রের পুরো পরিবার বিধ্বস্ত। তাঁরা এখন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করছেন। এদিন রাণাঘাটে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এ কথা বলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন দলনেত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছে যায় রাণাঘাটে মৃতের বাড়িতে। তাঁদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের বাবা-মা। তৃণমুলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। প্রায় ঘন্টাখানেক তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কাটান। মৃতের বাবা, মা, ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে, বিধ্বস্ত। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরাও আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলাম। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা কেউ ছাড়া পাবে না। পাশাপাশি তিনি বলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) নৈরাজ্য চলছে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে নিজেকে হনু ভাবে। সেটাকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আর একজন বিজেপির নির্দেশে রাজভবন থেকে কলকাঠি নেড়ে সবকিছু কুক্ষিগত করতে চাইছেন। রামপ্রসাদবাবু, স্বপ্নাদেবীদের মতো আজকে যারা ছেলেকে হারালেন তাদের দিকে তাকিয়ে অন্তত যেটুকু মানবিকতা অবশিষ্ট আছে সেটুকু ফিরিয়ে আনুন।’ কাকলী ঘোষ দস্তিদার বলেন, সন্তানহারা বাবা মাকে বলার কিছু নেই। তাদের দাবি শাস্তির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি দেখছেন। সুবিচার নিশ্চয় পাবেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কড়া মনোভাবের পর পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে আরও ৬ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেলে ক্যাম্পাসে প্রবল বাধার মুখে পড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা, কর্মীরা। এদিন পুলিশের তলব পেয়ে লালবাজারে গিয়ে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার। মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা এদিন হস্টেল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মহামেডান ক্লাবকে ৬০ লক্ষ টাকা অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর