মহালয়ে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে এবং সূচনা হয় দেবীপক্ষের। তবে এ বছর ১৪ অক্টোবর মহালয়ার দিনেই হবে সূর্যগ্রহণ। ভারত থেকে দেখা না গেলেও বিশ্বের বেশ কিছু জায়গা থেকেই এই গ্রহণ দেখা যাবে। যা শতবর্ষে এই প্রথম। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে একটা উদ্বেগের কারণ থাকছে। পিতৃতর্পণের যে প্রথা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে, মহালয়ার (Solar eclipse in Mahalaya) দিনে সূর্যগ্রহণের সেই রীতি পালনে কোনও প্রভাব পড়বে না তো? এখানেই জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা সকলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তর্পণের রীতি পালনে কোনও বাধা নেই। কারও মনে যদি দ্বিধা থাকে, তাহলে ১৪ অক্টোবর রাতে গ্রহণের সময়টুকু তর্পণের থেকে বিরত থাকলেই হবে।
স্বাধীনতা দিবস থেকে কলকাতা-সহ গোটা বাংলায় দুর্গাপুজোর আমেজ ধরা পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে কেনাকাটা। প্রতিমা বায়না থেকে ডেকরেটর্স বুকিং সবই চলছে। এরই মধ্যে উদ্বেগের খবর একটাই। মহালয়ার দিন সূর্যগ্রহণ। ভারতীয় সময় রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে এবং শেষ হবে মধ্যরাত ২টা ২৫ মিনিটে। মহালয়ার দিনে সূর্যগ্রহণ, শেষ ১০০ বছরের শাস্ত্রীয় দলিলে এমন তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না শাস্ত্রীয় বিশারদরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, মহালয়ার সঙ্গে সূর্যগ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই। দুটির মধ্যে কোনও মিল নেই। সম্পূর্ণ আলাদা দুটি।
আরও পড়ুন- ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে প্রচারে তৃণমূলের তারকা প্রচারক দলনেত্রী, অভিষেক-সহ ৩৭ জন
জ্যোর্তিবিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, ‘মহালয়ার (Solar eclipse in Mahalaya) সঙ্গে সূর্যগ্রহণের বৈজ্ঞানিক কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই দিনে আগে কখনও গ্রহণ হয়েছে বলে আমার স্মরণে আসছে না।’ জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের কথায়, “ওই দিন নিয়ম-রীতি মেনে সকলেই পিতৃপুরুষকে জলদান করতে পারবেন। তর্পণে কোনও সমস্যা নেই। সূর্যগ্রহণ ভারতের আকাশে দৃশ্যমান না হওয়ায় এর প্রভাব পড়বে না।
চলতি বছরে একটি সূর্যগ্রহণ ও একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। আরও একটি সূর্যগ্রহণ এবং একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। প্রথম সূর্যগ্রহণ হয়েছিল ২০ এপ্রিল। আবার বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবর। চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ৫ মে। আরেকটি চন্দ্রগ্রহণ হবে ২৯ অক্টোবর।