প্রতিবেদন : কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal vs aryan)। শনিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে পড়শি এরিয়ানকে ২-০ গোলে হারিয়ে মূল্যবান তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল বিনো জর্জের দল। শুধু তাই নয়, ১০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘বি’-র শীর্ষে থাকা লাল-হলুদের সুপার সিক্সে খেলা কার্যত নিশ্চিত।
এই ম্যাচের আগে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal vs aryan) রিজার্ভ দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের চোট ছিল। তাই সিনিয়র দলের সাতজনকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন বিনো। গোলকিপার আদিত্য পাত্র ছাড়াও দলে রাখা হয়েছিল গুরসিমরত গিল, মহম্মদ রাকিপ, তুহিন দাস, গুরনাজ সিং গ্রেওয়ালদের। এবারের লিগে এরিয়ান যথেষ্ট ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে। এদিনও ম্যাচের শুরুতেই প্রায় গোল করে বসেছিল তারা। কিন্তু লাল-হলুদের গোলকিপার আদিত্য পাত্র নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় মিনিটেই লাল-হলুদের পিভি বিষ্ণুর শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন এরিয়ানের গোলকিপার। ১৪ মিনিটে ফের সহজ সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল। এবার ফাঁকা গোলেও বল ঠেলতে পারেননি সঞ্জীব ঘোষ। এর পরেও গোলের সুযোগ নষ্টের বহর চলতে থাকে। লাল-হলুদের দু’টি গোলই এসেছে প্রথমার্ধের ইঞ্জুরি টাইমে। প্রথমে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে অনবদ্য গোল করেন জেসিন টিকে। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন বিষ্ণু পিভি। সেই গোলের রেশ কাটার আগেই আমন সিকের দ্বিতীয় গোল। জেসিনের থ্রু ধরে ডান প্রান্ত দিয়ে তীব্র গতিতে এরিয়ানের বক্সে ঢুকে পড়েন আমন। এরপর বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে বিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। এক কথায় চমৎকার গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের দাপট বজায় ছিল। বিষ্ণু এবার বিপক্ষ গোলকিপারকে কাটিয়েও গোল করতে পারেননি। তবে সুযোগ নষ্ট করলেও, লাল-হলুদের এই মিডফিল্ডার বেশ ভাল খেলেছেন। একই কথা প্রযোজ্য উইঙ্গার সঞ্জীবের ক্ষেত্রে। ম্যাচের শেষ দিকে কিছুটা হালকা চালে খেলা শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগে এরিয়ান দারুণভাবে খেলায় ফিরে এসেছিল। বেশ কয়েকবার আক্রমণও শানিয়েছিল তারা। যদিও কোনও বিপদ ঘটেনি। কারণ লাল-হলুদের তিনকাঠির নিচে সতর্ক ছিলেন গোলকিপার আদিত্য।
তবে জিতলেও এদিন লাল-হলুদের রক্ষণ খুব একটা ভাল খেলতে পারেনি। বিশেষ করে, অতুল উন্নিকৃষ্ণনের কাছে বল গেলেই আতঙ্কে ভুগেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সুপার সিক্সে কিন্তু আরও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।
আরও পড়ুন-ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে রহস্যমৃত্যু ছাত্রীর, আদালতের দ্বারস্থ পরিবার