প্রতিবেদন: লাভ জেহাদের নামে পিটিয়ে খুন। বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজের নমুনা। হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছে মুসলিম যুবক। শুধুমাত্র এই অপরাধে যুবকের বৃদ্ধা বাবা-মাকে পিটিয়ে খুন। যোগীরাজ্যের সীতাপুরের ঘটনা। এই গণপিটুনিতে জড়িত মেয়ের পরিবার ও এলাকার মানুষ। বিজেপির বিভাজনের বিষাক্ত নীতির বলি সংখ্যালঘু-দম্পতি।
আরও পড়ুন-নেত্রীর নির্দেশে নুহতে সামিরুল
এই গণপিটুনির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উঠে এল বিজেপি রাজ্যের বেহাল আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের বাসিন্দা প্রৌঢ় আব্বাস এবং তাঁর স্ত্রী কামরুল নিশা। অভিযোগ, গত শুক্রবার আব্বাস এবং নিশার উপর চড়াও হয় তাঁদেরই কয়েকজন প্রতিবেশী। লোহার রড দিয়ে ঘিরে ধরে অসহায় দম্পতিকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। গণপিটুনির জেরে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন। আর তা দেখেই অভিযুক্তরা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সীতাপুর থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আরও দু’জনের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন-আতঙ্কের সোয়াইন ফ্লু, শূকর মেরে ফেলার নির্দেশ প্রশাসনের
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে শওকতের সঙ্গে প্রতিবেশী এক হিন্দু পরিবারের মেয়ে রুবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবারের রোষ থেকে বাঁচতে ২০২০ সালে একবার ওই তরুণীকে নিয়ে পালিয়েও যায় মৃত আব্বাসের ছেলে শওকত। সেইসময় ওই তরুণী নাবালিকা ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে আব্বাসের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রুবির পরিবার। তাঁকে গ্রেফতার করে জেলেও পাঠায় পুলিশ। কিছুদিন আগেই শওকত জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এরপর তাকে খুনের পরিকল্পনা করে রুবির পরিবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তরুণীর পরিবারের আশঙ্কা ছিল, আব্বাসের ছেলে ফের তাঁদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে ওই যুবককে ভয় দেখানোর লক্ষ্যে তাঁর বাবা-মায়ের উপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। প্রচণ্ড মারে ঘটনাস্থলেই মারা যান দম্পতি। খুনের পর ওই তরুণীর বাবা-সহ পাঁচ অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।