প্রতিবেদন : রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির লাগামছাড়া বেতন নেওয়ার প্রবণতা রুখতে কড়া আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, বেসরকারি স্কুলের ফি কাঠামোর উপর নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই একটি শিক্ষা কমিশনের চিন্তাভাবনা করেছে সরকার। বেসরকারি স্কুলগুলো যাতে অতিরিক্ত মুনাফা করার লক্ষ্যে ব্যবসা চালাতে না পারে, এই সংক্রান্ত একটি বিলও সরকার আনতে চলেছে। ফি বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলা মাধ্যম স্কুলের দিকে ঝোঁক কমে যাচ্ছে অভিভাবকদেরও। এখন সবাই ইংলিশ মিডিয়ামে ঝুঁকছে। সেই চাহিদাবৃদ্ধির কারণেও ফি নিয়ে এত অশান্তি। স্কুল ফি নিয়ন্ত্রণ বিলের কথা এদিন বিধানসভায় জানিয়ে, এই বিল পাশের সময় বিজেপি বিধায়করাও যাতে সমর্থন করেন, সে বিষয়ে আবেদন রাখেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও নদীবাঁধ সারাচ্ছে রাজ্য
উল্লেখ্য, বেসরকারি স্কুলের একাংশের লাগামছাড়া ফি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতেই চলতি মাসের গোড়ায় রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে শিক্ষা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা কমিশনের কাজ কী হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত খসড়াও প্রস্তুত করেছে শিক্ষা দফতর, সেই সব প্রস্তাবই সায় পেয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। তার মধ্যেই অন্যতম বিষয় রয়েছে, বেসরকারি স্কুলের ফি বা বেতন কাঠামো।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় ব্রাত্যর তোপে রাজ্যপাল ছাত্রমৃত্যু নিয়ে কড়া জবাব গদ্দারকে
শিক্ষা কমিশনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর ওই বিলটি নতুন করে বিধানসভায় আনা হবে বলেও ঠিক হয়। বলা হয় সেই বিল পাশ হলে ওই আইন মোতাবেক কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাথায় থাকবেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এছাড়া কমিশনের সদস্য পদে থাকবেন স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার, এসসিইআরটি-র ডিরেক্টর, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। এছাড়া দু’জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে কমিটির সদস্য হিসাবে মনোনীত করবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।