প্রতিবেদন : ব্রিকস-এর মঞ্চে নিজেদের শক্তি বাড়াতে তৎপর হল চিন। এর মাধ্যমে ভারতকে কোণঠাসা করার কৌশল রয়েছে শি জিনপিং সরকারের। ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস মঞ্চে নিজেদের মিত্রপক্ষ কয়েকটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপর হয়েছে চিন। এর মাধ্যমে একদিকে ব্রিকস গোষ্ঠীর মধ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো এবং অন্যদিকে ভারতের উপর পরোক্ষ চাপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বেজিংয়ের। পাল্টা চিনের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তৎপর নয়াদিল্লিও।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে দলিত খুন, মদ আনতে অস্বীকার করায় মেরে শাস্তি
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ব্রিকস গোষ্ঠীর পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলন। চলবে তিনদিন। জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আসছেন চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, জিডিপির নিরিখে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি-৭ জোটকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে ব্রিকস। ফলে ‘নিউ ওয়ার্লড অর্ডার’ বা বিশ্বে নব্যশক্তির উত্থানে এই জোটকে হাতিয়ার করতে চাইছে বেজিং। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে বার্তা দেওয়াও লক্ষ্য তাদের। এই উদ্যোগে চিনের পাশে রয়েছে রাশিয়াও। জানা গিয়েছে, ব্রিকস-এ যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রায় ৪০টি দেশ আবেদন করেছে। আর্জেন্টিনা, আলজিরিয়া, ইরান, কিউবা, কঙ্গো, কাজাকস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশ রয়েছে তালিকায়। তাদের মধ্যে কাকে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা আসন্ন সম্মেলনে শুরু করবে চিন।
আরও পড়ুন-বিজয়নের পদত্যাগ চেয়ে চিঠি কেরলের বুদ্ধিজীবীদের
জিনপিং সরকার চেষ্টা করবে যে সব দেশে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং আধিপত্য বেশি তাদের ব্রিকস গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করতে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে মোকাবিলার স্বার্থে চিনের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এই প্রেক্ষাপটে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় ভারত। চিনপন্থী ইরান ও পাকিস্তানকে নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে ভারতের। এদিকে নিয়মানুযায়ী, ৫ দেশের সমর্থন না পেলে কোনও দেশ এখানকার সদস্য হতে পারবে না। ফলে চাইলেও একতরফাভাবে কোনও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না চিন ও রাশিয়া।