২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। বেশ কিছু সহায়তা ছাড়াও ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে জীবন বিমা(Life insurance) বাবদ ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেয় সরকার(Government)। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এই আর্থিক বছরে অগাস্ট মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পে ২৫৩৬ টি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে সরকারের খরচ হয়েছে ৫০.৭২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-বাড়ছে রূপোলী ফসলের জোগান, কমবে দাম, আশাবাদী বাঙালি
রাজ্যসরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে চালু হওয়া কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত মৃত্যুকালীন সহায়তা পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৬৩ টি পরিবার। এই ৪ বছরে এই প্রকল্পে মৃত্যুকালীন সহায়তা খাতে সরকার খরচ করেছে ১৮৬১ কোটি টাকা। এর আগে গত ৯ অগাস্ট ১২৫৪ টি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ২৫.৮ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছিল রাজ্যসরকার। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সহায়তা প্রকল্পে প্রতি বছর অন্তত ৩০ হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের অধীনে উপকৃত হন। এবং রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের বাজেট থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে। বলার অপেক্ষা রাখে না শোকাহত পরিবারগুলির সহায়তায় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প দেশের যে কোনও রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন-প্রয়াত ‘ম্যায়নে প্যয়র কিয়া’ গীতিকার দেব কোহলি
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কৃষকরা বা নথিভুক্ত ভাগচাষিরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা পান। এছাড়াও কৃষকদের বছরের নির্দিষ্ট খারিফ এবং রবি মরসুমে ১০০০০ টাকার সাহায্য করা হয় সরকারের তরফে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকের চাষযোগ্য জমি থাকতে হবে। সেটি পাট্টা জমি অথবা নিজের জমি কিংবা বর্গাদার জমিও হলে চলবে। এবং বাংলার বাসিন্দা হওয়ার পাশাপাশি কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।