প্রতিবেদন : শিল্পায়নের লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নকে পাখির চোখ করেছে রাজ্য সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি রাজ্য পেতে চলেছে একটি নতুন একটি নদীবন্দর। মুর্শিদাবাদ জেলায় সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই বন্দর তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে রেল এবং সড়কপথের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা থেকে সহজে পণ্য আমদানি ও রফতানি করা সম্ভব হবে। কমবে আমদানি-রফতানির খরচও। সড়কপথে ত্রিপুরা পৌঁছতে গেলে যেখানে প্রায় ১৩৫০ কিলোমিটার পথ পেরোতে হয়, সেই জায়গায় এই জলপথ চালু হলে তা কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের হোটেলে আগুন, মৃত ৩, আহত ৫
সব থেকে বড় কথা, এই নতুন বন্দরের জন্য মুর্শিদাবাদ জেলায় কর্মসংস্থানের নয়া দরজা খুলে যাবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, লালগোলার ময়াতে প্রায় ২৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠছে এই বন্দর। খরচ হচ্ছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে এই বন্দর তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। ২০১৮ সালে জমি জরিপের কাজ শুরু হয়। আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সমস্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পর বন্দর তৈরির মউ স্বাক্ষরিত হয় ২০২২ সালের মার্চ মাসে।
আরও পড়ুন-মুম্বই সফরের ‘জলসা’য় চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ অমিতাভ-জয়ার
মউ স্বাক্ষরের পর দ্রুত কাজ শুরু হওয়ায় বর্তমানে বন্দর তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। দ্রুত পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হবে। এই বন্দর এলাকার অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন নিশ্চিত করবে। প্রচুর কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করার বরাত পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই ধরনের বড় প্রকল্পের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের ময়াতে বন্দরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।